ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিম বলেছেন, ‘যেকোনো সময় ফাঁসির আদেশ আসতে পারে। এতে আমি অবাক হব না। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির যেভাবে ভাঙা হয়েছে, বুঝা শেষ।’
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালতে শুনানি চলাকালে আইনজীবীর সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন সোলাইমান সেলিমকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেন্দ্রিক লালবাগ থানার আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার সকাল ১০টার দিকে সোলাইমান সেলিমসহ অন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর সবাইকে কাঠগড়ায় রাখা হয়। এক পর্যায়ে সোলাইমান সেলিম এক আইনজীবীকে ডেকে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে থাকেন।
কথা বলার সময় আইনজীবী সোলাইমান সেলিমের কাছে কারাগারে কেমন জীবন কাটাচ্ছেন জানতে চান। এ সময় সোলাইমান সেলিম বলেন, ‘রোজা আছি, বই পড়ি। পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলা যায়। সাহরি ও ইফতারে খাবার নরমাল দেয়। দেখছেন না সবার মুখ কেমন শুকনো।’
পরে বিচারক এজলাসে উঠলে শুনানি শুরু হয়। তখন তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘অনেক সাংবাদিক ভুয়া নিউজ করে। তারা লিখেছে শাহজাহান খানসহ অনেকে নাকি কারাগারে ভালো খাবার খাচ্ছে। এসব ভুয়া নিউজ করে আমাদের ১২টা বাজিয়ে দিচ্ছে।’
এ সময় কাঠগড়ার পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাকে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কথা বলতে বারণ করেন। তখন সোলাইমান সেলিম পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘জবাই তো দেবেন। একটু সময় দেন।’
এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করে সোলাইমান সেলিম আইনজীবীকে বলেন, ‘যেকোনো সময় ফাঁসির আদেশ আসতে পারে। এতে আমি অবাক হব না। বঙ্গবন্ধুর বাড়ির যেভাবে ভাঙা হয়েছে, বুঝা শেষ।’
পরবর্তী সময়ে শুনানি শেষে সোলাইমান সেলিমকে হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় সে তার আরেক আইনজীবীকে ডেকে বাবার খোঁজ নেন। তার বাবার শরীর খারাপ। কী অবস্থা খোঁজখবর নিতে বলেন।
এরপর হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার সময় সোলাইমান সেলিমকে তার বক্তব্য ‘যেকোনো সময় ফাঁসির আদেশ’-এর বিষয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘তড়িঘড়ি করে বিচার হয় না।’ এরপর তাকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
Leave a Reply