পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। উত্তরের হিমেল বাতাসের কারণে তাপমাত্রার পারদ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে পুরো জেলা। তাপমাত্রা ওঠা-নামার মধ্যে রয়েছে। তবে মাঘের প্রথম সপ্তাহে ঘন কুয়াশায় বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে-খাওয়া সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ। এর তিন ঘণ্টা আগে সকাল ৬টায় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে পঞ্চগড়ে পৌষ মাসের মাঝামাঝি থেকে কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় আবৃত হয়ে পড়েছে চারদিক। শীতার্তরা তীব্র কষ্টে দিন পার করছেন। বর্তমানে সূর্যের দেখা মিললেও তেমন তাপ নেই। দিনমজুর, চা ও পাথর শ্রমিক শ্রেণির মানুষেরা শীতের তীব্রতায় কাজও করতে পারছেন না। ফলে আয় কমেছে তাদের। এসব কারণে এ জেলার শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষের রাত কাটে এখন অসহনীয় দুর্ভোগে। শীতের একেকটি রাত যেন তাদের কাছে দুঃস্বপ্ন।
অপরদিকে কয়েক দিন ধরে টানা ঠান্ডার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধারা। প্রায়ই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা।
তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে এ জেলায়। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর তিন ঘণ্টা আগে সকাল ৬টায় তেতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমার শঙ্কা রয়েছে।
Leave a Reply