জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে এই দলের জোট ভোটযুদ্ধে রাজনীতিতে বড় দল আওয়ামী লীগকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল। এরপর আর বিএনপিকে ছেড়ে যায়নি জামায়াত। সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগের নির্যাতন সইতে হয়েছে দুই দলকে। কিন্তু ৫ আগস্টের পর এ দুই বন্ধুর মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। যদিও আনুষ্ঠানিক ছেড়ে যাওয়ার কথা কেউ বলেনি, কিন্তু বিভিন্ন আলোচনায় এবং দলীয় ফোরামের বক্তব্যে নিজেদের মধ্যে দিন দিন দূরত্বের বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজনীতির মাঠে নেই আওয়ামী লীগ। এই সুযোগে প্রায় ফাঁকা মাঠ কাজে লাগানোর সুযোগ নিতে চাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। এই ফাঁকা জায়গা পূরণে দলটি বড় শক্তি হিসেবে হাজির হতে চায়। কিন্তু গত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্বে থাকা বিএনপি সেই সুযোগ দিতে নারাজ। আন্দোলনে জোটসঙ্গী হলেও রাজনৈতিক সমীকরণে প্রতিপক্ষ হিসেবে দলটিকে দূরেই রাখবে বিএনপি। যদিও বিএনপি শীর্ষপর্যায় থেকে কৌশল অবলম্বন করার পন্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে গভীর বিভেদ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। তাদের নেতারা পরস্পরকে তীব্র সমালোচনা করছেন, যা দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে নতুন মেরূকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। অতীতে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোয় তাদের মধ্যে যে মাত্রার বৈরিতা হয়েছে, তা নজিরবিহীন। কারণ উভয় দলই তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রদর্শন করার চেষ্টা করছে।
বলা যায়, পাল্টাপাল্টি এই বক্তব্য, বন্ধুত্ব থেকে দ্বান্দ্বিক সম্পর্কে রূপ নিয়েছে। পুরো বিষয়টিই নির্ভর করবে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাওয়া বা না পাওয়া নিয়ে।
বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। একটি মহল পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। পাশের একটি দেশ তাদের সহযোগিতা করছে বলে ধারণা। এখন জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির দূরত্বের কথা প্রকাশ্যে এলে আওয়ামী লীগ ও অন্য মহলগুলো এর সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে। বিএনপি সে সুযোগ দিতে চাইছে না। তাই জামায়াতের সঙ্গে একাধিক ইস্যুতে মতানৈক্য হলেও তা প্রকাশ্যে না আনার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে জামায়াত নানা ইস্যুতে বিএনপির বিরোধিতা করে নির্বাচন পেছানো এবং এ সময় রাজনৈতিক মাঠে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার যে প্রক্রিয়া চালু রাখার চেষ্টা করছে, তাও সহজে করতে দেওয়া হবে না।
যদিও জামায়াত-বিএনপি এসব অভিযোগ মানতে নারাজ। এমনকি দুই দলের মধ্যে রাজনৈতিক দূরত্ব বাড়া কিংবা ‘পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের’ বিষয়ে রাজনীতির মাঠে গড়ানো বক্তব্যকে নেতাদের নিজস্ব মন্তব্য বলেও মনে করেন তারা। এতে দুই দলের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে বিশ্বাস দলটির শীর্ষ মহলে।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘জামায়াত প্রায় দুই যুগের জোটসঙ্গী। তারা নির্যাতিত নিঃসন্দেহে। তবে তারা এ দেশ স্বাধীন করেনি, আমরা করেছি। তারা যদি মনে করে, রাজনীতির মাঠে একচ্ছত্র আধিপত্য করবে, তারা তা করতেই পারে। যদিও এটি তাদের অলীক স্বপ্ন। বিএনপি তার নিজস্ব রাজনীতিই করবে।’
গণ-অভ্যুত্থানের পর দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব তীব্রতর হয়, প্রধানত ইসলামী ব্যাংকের দখল এবং অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব নেওয়া নিয়ে সৃষ্ট বিরোধকে ঘিরে। এরপরই জামায়াত নেতারা বিএনপির বিরুদ্ধে সারা দেশে ‘দখল ও চাঁদাবাজি’ করার অভিযোগ করেন।
বিএনপি প্রথমে কোনো মন্তব্য না করলেও ২৯ ডিসেম্বর বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, শুধু ভারত নয়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধবিরোধীসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এই অস্থিরতাকে নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। রিজভী জামায়াতের বিরুদ্ধে ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দখল ও টেন্ডার কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন। জবাবে জামায়াত এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিবৃতি দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আসলে জামায়াত কারও বন্ধু নয়। তারা নিজেদের স্বার্থের বাইরে যেতে পারে না। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছিল জামায়াত। আবার স্বার্থের জন্য ২০০১ সালে বিএনপির সঙ্গে এসেছিল। সর্বশেষ ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তারা বিএনপির কাছে এসেছিল। অন্তত ২০টি আসন তাদের দেওয়া হয়েছিল। ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের আগে অক্টোবর মাসে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলা চালিয়েছিল। তখন পাশেই জামায়াত কর্মসূচি পালন করলেও বিএনপির পাশে দাঁড়ায়নি দলটি। তারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করে চলে গেছে। সুতরাং বিএনপির উচিত হবে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া।’
জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান গত ২৩ ডিসেম্বর রংপুরে এক অনুষ্ঠানে বলেন, দেশে পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক শক্তি মাত্র দুটি— একটি সেনাবাহিনী, অন্যটি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। পরে রিজভী জামায়াত প্রধানের বক্তব্যকে হাস্যকর আখ্যায়িত করেন এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ‘ইসলামপন্থি দলের’ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
মাঝে দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্বে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় দুই পক্ষের নেতাদের বক্তব্য পাল্টা বক্তব্যে রাশ টানা হলেও গত ৯ জানুয়ারি নতুন করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ কথা বলেন।
তিনি জামায়াতের সমালোচনা করে বলেন, ‘তারা (জামায়াত) ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে একাত্তরের ভ‚মিকাকে জায়েজ করার চেষ্টা করছে।’ ১১ জানুয়ারি শনিবার নাটোরে এক জনসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার পক্ষে নাকি বিপক্ষে, তা দেশের মানুষের কাছে স্পষ্ট করতে হবে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিরুদ্ধাচরণ করার জন্য জামায়াতকে ক্ষমা চাওয়া উচিত। ক্ষমা না চেয়ে তারা বিএনপিকে আক্রমণ করে কথা বলে, যা মোটেও ঠিক না।’
গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধই জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অহংকার’ শীর্ষক সমাবেশে দেখা যায় জামায়াতবিরোধী প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাজির হন নেতাকর্মীরা। প্ল্যাকার্ডে দেখা গেছে, জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও একসঙ্গে; জামায়াত-ইসকন একই জাত, ধর্ম ব্যবসা; জামায়াত-শিবির করে যারা ধর্ম ব্যবসা করে তারা; হায়েনা আর জামায়াত নেই কোনো তফাত ইত্যাদি।
এরই মধ্যে গত শুক্রবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে আমাদের দূরত্বের তেমন কিছু নেই। তারাও গণতন্ত্র চায়, নির্বাচন চায়, মানুষের অধিকারের কথা বলে, আমরাও বলি।’
তিনি বলেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে জোটে ছিলাম। ফর্মালি যুগপৎ আন্দোলনে আমরা ছিলাম না। বিএনপির কর্মসূচি ও জামায়াতের কর্মসূচি একরকম ছিল না। কিন্তু তারা আন্দোলনে ছিলেন। আগামীতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা আন্দোলনে সবাই আমরা থাকব, তারাও (জামায়াত) থাকবে। জামায়াতের সঙ্গে আমাদের দূরত্বের তেমন কিছু নেই। তারাও গণতন্ত্র চায়, নির্বাচন চায়, মানুষের অধিকারের কথা বলে, আমরাও বলি। তবে কেউ যদি কখনো বলে শুধু তারা দেশপ্রেমিক, তাহলে তো আমাদের কষ্ট লাগবেই।’
পরদিন ১১ জানুয়ারি হাজীগঞ্জ মডেল সরকারি পাইলট হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে কর্মী সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘আগামী দিনের রাজনীতি হবে ইতিবাচক। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই।’
বিএনপির একাধিক নেতার অভিযোগ, দূরত্ব তৈরি শুরু হয় শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরপরই জামায়াতের আমির প্রথম বিএনপিকে আক্রমণের মধ্য দিয়ে। তিনি তখন বলেছিলেন, ‘একজন জালিম চলে গেলেও আরেকজনের দেশের লাগাম নেওয়া উচিত নয়।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গত সেপ্টেম্বরে বিএনপি আগাম নির্বাচনের দাবি জানালেও যাদের জনসমর্থন নেই, তারা নির্বাচন চায় না।
বিএনপি নেতারা বলছেন, নির্বাচনের রোডম্যাপ ও আগাম নির্বাচনের ব্যাপারে তারা সক্রিয়ভাবে সোচ্চার হলেও, জামায়াত তাদের অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্বাচন পেছাতে চায়। তারা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে জামায়াত এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাচ্ছে, যা বিএনপির অবস্থানের পরিপন্থী।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য বরকতউল্লা বুলু দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘জামায়াত নেতাদের নেতিবাচক বক্তব্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। গত ৪৬ বছরে জামায়াত নির্বাচনী হিসাবনিকাশে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী না হলেও মনে হচ্ছে দলটি বিএনপিকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভাবতে শুরু করেছে। জামায়াত নেতাদের তাদের রাজনৈতিক বক্তব্যের ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়া উচিত, কারণ বিএনপি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে গণতন্ত্রপন্থি শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার দিকে মনোনিবেশ করছে।’
জামায়াতে ইসলামীর মুখপাত্র অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠান বা সংস্কার ইস্যুতে আমাদের সঙ্গে বিএনপির ভিন্নমত থাকতে পারে। তবে আলোচনায় বসলে এগুলোর নিরসন হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে আমাদের মতবিরোধ রয়েছে বললে ঠিক হবে না। বিএনপি তার রাজনৈতিক দর্শন ও দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে বক্তব্য রাখছে। আমরা আমাদের দর্শন ও দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে বক্তব্য রাখছি। কাউকে গ্রহণ বা বর্জন করার মালিক জনগণ। রাজনীতিতে ভিন্নমত থাকবেই। পারস্পরিক দূরত্বের কারণ রয়েছে মনে করি না।’ দুই দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কোনো মনোমালিন্য নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে জামায়াত বিএনপির বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করে তৃণমূলের সংগঠনকে উজ্জীবিত ও সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলকে চ্যালেঞ্জ করে জামায়াতপন্থি ছাত্রশিবিরও সব শিক্ষাঙ্গনে নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। আমি মনে করি, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নয়, দুই দলের তৃণমূল পর্যায়ে ফাটল ধরেছে। তবে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতিতে দুই দলের পুনরায় একত্র হওয়া বা নতুন মেরূকরণ বিষয়টি পরিষ্কার হবে।’
তথ্য বলছে, ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় এবং ১৯৯৯ সালে তারা আনুষ্ঠানিক জোট গঠন করেছিল। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে ২০-দলীয় জোট ভেঙে যাওয়া পর্যন্ত তারা রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিল। বিশেষ করে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিএনপি ২০-দলীয় জোট ভেঙে দিয়ে কিছু বামপন্থিসহ আরও অনেক দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করার পর থেকে কিছুদিন ধরেই দুই দলের মধ্যে লক্ষণীয় মতপার্থক্য ও বিভেদ দেখা যায়। ২০১৮ সালে জামায়াতকে উপেক্ষা করে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামসহ কয়েকটি দলের সমন্বয়ে বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করায় বিএনপি-জামায়াত সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
Leave a Reply