দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তান থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে দুবাই-করাচি-চট্টগ্রাম রুটের কনটেইনারবাহী জাহাজ ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’। এবার জাহাজটিতে চিনি, আখের গুড়, ডলোমাইট, সোডা অ্যাশ, থ্রি-পিস, খেজুর ছাড়াও নানান ধরনের পণ্য এসেছে।
এসব পণ্যের ৮৬ শতাংশই পাকিস্তান থেকে এসেছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিশোধিত চিনি ও খনিজ পদার্থ ডলোমাইট।
গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার দিকে এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং নামের কনটেইনারবাহী জাহাজটি বন্দরে পৌঁছায়। গত ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে ৮১১ টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক) কনটেইনার নিয়ে জাহাজটি রওনা দেয়।
চট্টগ্রাম বন্দরকে দেওয়া জাহাজটির ঘোষণাপত্র অনুযায়ী, জাহাজটিতে প্রথমবারের তুলনায় এবার দ্বিগুণের বেশি পণ্য আনা হয়েছে। এবার আমিরাত ও পাকিস্তান থেকে আনা হয়েছে ৮১১ একক কনটেইনার পণ্য, যার মধ্যে ৬৭৮ একক কনটেইনার পণ্যই এসেছে পাকিস্তান থেকে। দেশটি থেকে এবার সবচেয়ে বেশি এসেছে পরিশোধিত চিনি ও খনিজ পদার্থ ডলোমাইট।
পাকিস্তান থেকে এবার ২৮৫ কনটেইনারে ১ লাখ ৪৮ হাজার ২০০ ব্যাগ চিনি আনা হয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৭ হাজার টন। এসব চিনি এনেছে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পগ্রুপ প্রাণ–আরএফএল, শেহজাদ ফুড প্রোডাক্টস, সেভয় আইসক্রিম কারখানা ও ব্রডওয়ে ইন্টারন্যাশনাল।
এছাড়া কাঁচশিল্পে ব্যবহারের জন্য ১৭১ কনটেইনারে ডলোমাইট আমদানি হয়েছে। এই কাঁচামাল এনেছে নাসির ফ্লোট গ্লাস ও আকিজ গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ। ১৩৮ কনটেইনারে পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া আরেকটি পণ্য হলো সোডা অ্যাশ। শিল্পে ব্যবহারের এই কাঁচামাল এনেছে নাসির ফ্লোট গ্লাসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
এছাড়া ৪৬টি কনটেইনারে কাপরের রোল এনেছে কিছু পোশাক কারখানা। আলু আমদানি হয়েছে ১৮ একক কনটেইনারে। এছাড়া জয়পুরহাটের পিঅ্যান্ডপি ট্রেডিং ২০ কনটেইনারে আখের গুড় এনেছে। এসব পণ্যের পাশাপাশি পুরোনো লোহার টুকরা, রেজিন, থ্রি-পিস ইত্যাদি পণ্য আমদানি হয়েছে।
পাকিস্তান ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আনা হয়েছে খেজুর, লুব অয়েল, যন্ত্রাংশ ইত্যাদি। পাকিস্তানের পাশাপাশি আমিরাত থেকেও ১০ কনটেইনার চিনি আমদানি হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে দুদিন অবস্থান করে জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার বন্দরের জন্য ৪০০ একক এবং মালয়েশিয়ার বন্দরের জন্য ৬০০ টিইইউস খালি কনটেইনার নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে শিপিং এজেন্ট।
Leave a Reply