উত্তরের হিমালয়কন্যা পঞ্চগড়ে গত ৬ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। উঠানামা করছে তাপমাত্রার পারদ। প্রবাহিত হচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কখনও ঘন আবার কখনও হালকা কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারপাশ৷ রাতে শীতের তীব্রতা বাড়লেও সকালের পর দেখা মিলেছে সূর্যের৷
বুধবার সকালে জেলার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরজমিনে দেখা যায়, গতকাল সন্ধ্যার পরে থেকে জেলার ওপর দিয়ে হালকা হিমেল হাওয়া বয়ে যায়৷ ফলে সন্ধ্যা থেকে ঘন কুয়াশা না থাকলেও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। ভোর পর্যন্ত শিশির বিন্দু ও হিমেল হাওয়া স্থায়ী থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা মিলে সূর্যের। শুরুতে মিষ্টি রোদের স্বাদ মিললেও ধীরে ধীরে রোদ বৃদ্ধি পায়।
গত কয়েক দিন শীতের তীব্রতা বাড়ায় দূর্ভোগ বেড়েছে জেলার নিম্নআয়ের মানুষদের৷ সবচেয়ে বেশি কষ্টে পাথর, চা ও দিনমজুর শ্রমিকদের৷ তারা সকাল বেলা শীতের কারণে সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না। অন্যদিকে কষ্ট বেড়েছে গরিব ও শীতার্ত মানুষদের৷
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, তেঁতুলিয়া সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও জানান, বাতাসের আদ্রতা ৭৭ শতাংশ,বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭-৮কিলোমিটার, খালি চোখে দৃষ্টিসীমা ৫ কিলোমিটার। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলমান রয়েছে। আগামী সপ্তাহে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি ও তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply