লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে। কে সংগঠিত করছে, কে দায়িত্ব নিয়েছে, কোথায়, কখন এবং কোন বাসায় তিনি আছেন- সে তথ্য আমার কাছে আছে।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মগবাজারে এলডিপির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
অলি আহমদ বলেন, ‘আমরা যদি মনে করি স্বৈরাচারীরা বসে আছে, এটা সঠিক নয়। স্বৈরচারদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তর পুলিশ এবং প্রশাসনে বসে আছে। এখনো স্বৈরাচারের দোসরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্ব অবস্থানে রয়েছে। আমি ড. ইউনূসকে বলব আর কালবিলম্ব না করে স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করুন। তাদের বদলি কোনো সমাধান নয়। চাকরি থেকে বাদ দিতে হবে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর অনেকে আওয়ামী লীগকে পছন্দ করেন, তাদের সাবধান হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নিলেও নিজের ফিরে যাওয়া নিয়ে এলডিপি সভাপতি বলেন, ‘যে কোনো কারণেই হোক, আমরা সেখানে উপস্থিত থাকতে পারিনি। যার জন্য সরকারের একজন উপদেষ্টা দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং তিনি বলেছেন, আগামীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। সুতরাং এটা নিয়ে আর কোনো কথা বলতে চাই না।’
অলি আহমদ বলেন, ‘আমরা মিটিংয়ে থাকি বা না থাকি। বাংলাদেশের বিষয়ে আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার- ভারতকে এটা বুঝতে হবে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা এখনো জীবিত আছি। বাংলাদেশে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনকাল ছাড়া বাকি সময়টুকু ভারতের দালাল হিসেবে কাজ করছে বাকিরা। বর্তমানে কাউকে আমরা ভারতের দালাল হিসেবে কাজ করতে দেব না। আমার ভারতের বিপক্ষে না, কোনো দেশের বিরুদ্ধে না, ইসলাম ধর্মের অনুসারী, যারা আমাদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। তবে বেশি গুতাগুতি করলে ভালো হবে না।’
এলডিপি সভাপতি বলেন, ‘ভারতের উচিত হবে বাংলাদেশে তাদের নতুন করে কোনো দালাল সৃষ্টি না করে দেশের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে তারা তাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, আমরা আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করব। যার যেখানে সাহায্যের প্রয়োজন পড়বে, আমরা একে-অপরকে সাহায্য করবে। তবে, ভারতের উচিত তাদের শত্রুতামূলক মনোভাব পরিহার করা।’
Leave a Reply