মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টরা রোগ নির্ণয়ে প্রধান ভূমিকা পালন করলেও দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত সরকারি চাকরিতে তাদের নিয়োগ বন্ধ আছে। দীর্ঘদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় একটি বৃহৎ অংশের সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা পার হয়ে গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, একজন চিকিৎসকের বিপরীতে তিনজন নার্সের পাশাপাশি পাঁচজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট থাকা আবশ্যক। কিন্তু দীর্ঘদিন নিয়োগ না থাকায় একজন চিকিৎসকের বিপরীতে গড়ে একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টও নেই। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে চার হাজার ১০৬ জন কাজ করছেন। কিন্তু সরকারিভাবে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের জন্য পদ রয়েছে পাঁচ হাজার ৯৭৫টি। বাংলাদেশে চিকিৎসক ও নার্সের বিদ্যমান সংখ্যার অনুপাতে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট হওয়ার কথা ছিল ৮০ হাজারেরও বেশি। ইতোমধ্যে মেডিক্যাল টেকনোলজিতে বিএসসি, এমএসসি এমনকি পিএইচডি ডিগ্রিও অর্জন করেছেন অনেকে কিন্তু তাদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। এই অবস্থায় গত শনিবার মহাখালী আইএইচটি মিলনায়তনে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টরা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২০২৩ সালে ৮৮৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হলেও বেকার টেকনোলজিস্টের তুলনায় তা খুবই নগণ্য।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর কেবল চিকিৎসকদের সামগ্রিক সুবিধা আদায়ের একটি প্রশাসনিক ইউনিটে পরিণত হয়েছে। যাবতীয় সুবিধাদি, পদ, পদোন্নতি তাদের জন্যই করা হয়। নীতি নির্ধারণী সব জায়গায় অন্য স্টেকহোল্ডারদের কোনো অংশগ্রহণ না থাকায় এবং একপেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় বাকি সব জনবলকে কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে। অথচ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সুষ্ঠু বন্টনে সবার অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ এবং ন্যায্য বিষয়।
মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টরা ঢাকা আইএইচটিকেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করার দাবি করেন। সেই সাথে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের জন্য একটি স্বতন্ত্র পরিদফতর গঠনের দাবি করেন।
ডিপ্লোমাধারী মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টদের ১০ম গ্রেড পদমর্যাদা দিয়ে আনুপাতিক হারে পদ সৃজনপূর্বক দ্রুত নিয়োগ দাবি করেন। গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের নবম গ্রেডের পদ সৃষ্টি করে আনুপাতিক হারে পদোন্নতি চান। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ রোববার বাংলাদেশের সব আইএইচটিতে মানববন্ধন ও অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি এবং কাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাব ও সব জেলা প্রেস ক্লাবে মানববন্ধনের ডাক দেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মো: সালাহউদ্দিন ও জীবন ইসলাম।
Leave a Reply