বিতর্কের মাঝে ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই প্রধান প্রার্থী, ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার রাতে (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে) প্রথমবারের মতো টেলিভিশন বিতর্কে মুখোমুখী হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ৫ নভেম্বেরের নির্বাচনের প্রচারণায় এই বিতর্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এই দু’জন প্রার্থী আগে কখনো একে ওপরের সাথে কথা বলেননি, এমনকি টেলিফোনেও না। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে ফিলাডেলফিয়ার ন্যাশনাল কন্সটিটিউশন সেন্টারে তারা খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়েছেন, এবং একে ওপরের প্রতি অভিযোগের তীর ছুঁড়ে মারছেন।
এবিসি টেলিভিশনের উপস্থাপক ডেভিড মিউর এবং লিন্সে ডেভিস ৯০ মিনিটের এই অনুষ্ঠানে প্রশ্ন করছেন।
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা
লাখ লাখ আমেরিকান এই দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মধ্যকার লড়াই দেখছেন। হতে পারে এটি প্রচারণার একমাত্র বিতর্ক। আনুষ্ঠানিক নির্বাচনের আট সপ্তাহ আগে এ অনুষ্ঠানটি হচ্ছে। তবে দেশের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের মধ্যে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে আগাম ভোট শুরু হওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগে এটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জাতীয় জরিপে দেখা যাচ্ছে, হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে; যা অল্প সংখ্যক ভোটার যারা ইতোমধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, তাদের জন্য সেরাটা দেয়া আরো গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। এখন দেখার বিষয় হলো, ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে পুনর্নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ট্রাম্প এবার হোয়াইট হাউসে ফেরেন নাকি বাইডেনের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন।
রোববার প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমস-সিয়েনা কলেজের এক জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্প জাতীয়ভাবে ৪৮-৪৭ শতাংশ ভোটে এগিয়ে আছেন। তবে এতে দেখা গেছে, তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটলগ্রাউন্ড অঙ্গরাজ্য উইসকনসিন, মিশিগান এবং পেনসিলভানিয়ায় হ্যারিস এগিয়ে আছেন, অন্যদিকে অন্য চারটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, নেভাডা এবং নর্থ ক্যারোলাইনায় দুই পক্ষের ড্র হয়েছে।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক কোচ অ্যারন ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতের বিতর্ক সর্বকালের সবচেয়ে প্রত্যাশিত এবং প্রভাব বিস্তারকারী প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কগুলোর মধ্যে একটি। ট্রাম্প একজন অভিজ্ঞ প্রেসিডেনশিয়াল বিতার্কিক কিন্তু মঞ্চে বিরোধীদের বিরুদ্ধে তার বিতর্কিত মন্তব্য করার ইতিহাস রয়েছে, এর ফলে মূল নীতিগত বিষয়গুলোতে আরও গুরুত্বপূর্ণ জায়গার ওপর আলোকপাত করা কঠিন হতে পারে।’
‘হ্যারিস সবেমাত্র জুলাইয়ে দৌড়ে প্রবেশ করেছেন এবং এখনো ভোটার ও ট্রাম্পের প্রচারণা দিয়ে তাকে সংজ্ঞায়িত করা হচ্ছে। তাকে অবশ্যই দেখাতে হবে, তিনি ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় থাকাকালীন এবং সাম্প্রতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে মামলা চালাতে পারেন।
গর্ভপাতের অধিকার, মেক্সিকোর সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে অভিবাসন, যুক্তরাষ্ট্রে অপরাধের হার এবং ব্যক্তিগত চরিত্রের মতো বিষয়গুলো এবিসি উপস্থাপকরা উত্থাপন করতে পারেন।
সূত্র : ভিওএ
Leave a Reply