বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সমস্ত ভিসা এবং ইউএস সিটিজেন সার্ভিস অ্যাপয়েন্টমেন্ট আজ রোববারের জন্য বাতিল করা হয়েছে এবং পরবর্তী তারিখ পরে জানানো হবে বলে বলা হয়েছে।
শনিবার (৩ আগস্ট) রাতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ফেসবুকে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্তায় আরো বলা হয়েছে, দূতাবাস রোববার সীমিত আকারে খোলা থাকবে ও কার্যক্রম চলবে।
জরুরি ভ্রমণ পরিকল্পনা যাদের রয়েছে তারা একটি দ্রুত অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়ার জন্য অনুরোধ করতে পারেন।
বাংলাদেশে অধিকার সমর্থন করতে ব্লিংকেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের আহ্বান
যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের কয়েকজন সদস্য বাংলাদেশে গণতান্ত্রিকব্যবস্থা এবং মানবাধিকারের অবনতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের কাছে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে সিনেটর এডওয়ার্ড জে মার্কি, প্রতিনিধি জিম ম্যাকগভর্ন এবং বিল কিটিং-এর নেতৃত্বে কংগ্রেস সদস্যরা বাংলাদেশিদের একটি প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার পাবার অধিকার সমর্থন করার জন্য ব্লিংকেনের প্রতি আহ্বান জানান।
তারা বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের আরো অবক্ষয় রোধ করতে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘবদ্ধ হতে হবে যাতে মানবাধিকারকে সমুন্নত করে ও ব্যক্তি-স্বাধীনতাকে মর্যাদা দেয়, এমন একটি প্রতিনিধিত্বশীল গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের অধিকারকে সমর্থন করা যায়।’
চিঠিতে বলা হয়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গোটা বাংলাদেশে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সে দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে ‘মানবাধিকার অপব্যবহার ও লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে।’
‘সব ধরনের সহিংস কার্যকলাপের নিন্দা করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে এবং সুনিশ্চিত করতে হবে, জরুরি নাগরিক স্বাধীনতা যেমন মত প্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা যেন রক্ষিত হয় এবং বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে পূর্বোক্ত অবমাননার কাজে দোসর সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে,’ তারা বলেন।
আইনপ্রণেতারা তাদের চিঠিতে অভিযোগ করেন যে ‘বাংলাদেশ সরকার এমন পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রেখেছে যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে খর্ব করে; এগুলির মধ্যে রয়েছে, জানুয়ারি মাসে মারাত্মক ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন, শ্রমবিধি উন্নত করতে ব্যর্থতা, এবং সর্বসম্প্রতি বন্দুক, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে বিক্ষোকারীদের সহিংসভাবে দমনপীড়ন করা ও ইন্টারনেট পরিষেবাকে প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ করার নির্দেশ চাপানো।’
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
Leave a Reply