সরকারও চায় কোটার বিষয়টি নিষ্পত্তি হোক, তবে সেটি আদালতের গিয়েই সমাধান করতে হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেন, যেখানে যে বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়া দরকার, সেখানেই তা নিষ্পত্তি হতে হবে। রাস্তা অবরোধ করে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করার চেয়ে আদালতে যাওয়াই যৌক্তিক।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ফরহাদ হোসেন।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, সেই আলোকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা অন্যরা মনে করেছেন তারা বঞ্চিত হয়েছেন। এরপর তারা ২১ সালে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। সেই চলমান প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে ৫ জুন একটা রায় দিয়েছেন আদালত। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবারও (১০ জুলাই) শুনানির পরে আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরাও চাই বিষয়টি সুন্দরভাবে নিষ্পত্তি হোক। কারণ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কথা শুনে আদালত যে রায় দিয়েছেন, এখানে কিন্তু এখনো সুযোগ রয়ে গেছে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, দুর্ভোগ থেকে জনগণকে মুক্তি দিয়ে আদালতে এসেই এটি সমাধান করলে ভালো হয়। আলোচনার ভিত্তিতে একটা বিষয় হতে পারে, সেটি হচ্ছে কোটা কতটুকু থাকবে। কাদের জন্য কত শতাংশ কোটা রাখা যাবে। নারী কোটা তুলে দেয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা এগিয়ে আসতে পারেনি। কোটা বাতিল না হয়ে সংস্কার হওয়া উচিত। তবে কত শতাংশ কোটা থাকতে পারে, সেটি আদালতের বিষয়।
Leave a Reply