সৌদি আরবে আজ জিলহজ মাসের ১০ তারিখ। মিনায় বড় জামারায় গিয়ে পাথর নিক্ষেপ করবেন হাজিরা। এক প্রতিবেদনে আরব নিউজ এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার ঐতিহাসিক আরাফাতের দিনে মোট ২৭টি ভাষায় খুদবা অনুবাদ করা হয়। লাখো কণ্ঠে আরাফাতের ময়দানে ধ্বনিত হয় ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক।’ অর্থাৎ আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার।
মিনায় প্রত্যাবর্তনের পর হাজিদের ১০ জিলহজ পর্যায়ক্রমে তিনটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, আল্লাহর উদ্দেশে পশু কুরবানি ও মাথা মুণ্ডন করা। এরপর ১১ জিলহজ তিনটি শয়তানকে ২১টি পাথর মেরে হাজিরা তাওয়াফে জিয়ারত করবেন। তাওয়াফে জিয়ারতের মাধ্যমে হজের সবকটি ফরজকাজ সম্পন্ন হবে।
এর আগে গতকাল পাপমুক্তি আর আত্মশুদ্ধির আকুল বাসনায় পবিত্র মক্কা নগরীর অদূরে ‘উকুফে আরাফা’য় অবস্থানের মধ্য দিয়ে পবিত্র হজ পালন করেছেন গোটা দুনিয়া থেকে আগত লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান।
সবার পরনে সাদা দুই খণ্ড বস্ত্র। সবারই দিনহীন বেশ। নেই আশরাফ-আতরাফ বিভেদের অচলায়তন। দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ, রহমতপ্রাপ্তি ও নিজের গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহ তাআলার মহান দরবারে অশ্রুসিক্ত ফরিয়াদ জানান সমবেত মুসলমানরা। একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হন, কুশল বিনিময় করেন। বিশ্বভ্রাতৃত্বের এক অনুপম দৃশ্যেরও অবতারণা হয় সেই ময়দানে।
গতকাল দুপুরে সূর্য পশ্চিমাকাশে হেলে পড়ার পর মসজিদে নামিরা থেকে খুতবা প্রদান করেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ মাহের আল মুয়াইকিলি। হজের খুতবা শুনে ইমামের পেছনে পরপর জোহর ও আসরের নামাজ জোহরের ওয়াক্তে আদায়ের পর সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করেন হাজিরা। সূর্যাস্তের পর আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা হন হাজিরা। মূলত ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানের দিনকেই হজের দিন বলা হয়। খুতবায় মুফতি মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
Leave a Reply