প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমার খুব হাসি পায়, যখন দেখি বিএনপি ভোটের কথা উচ্চারণ করে, নির্বাচনের কথা বলে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে এ দেশের ভোটের সমস্ত অধিকারগুলো কেড়ে নিয়েছিল। তার সেই হ্যাঁ-না ভোট দিয়ে যাত্রা শুরু; অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার জন্য।’
আজ শনিবার সকালে গণভবনে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সরকার প্রধান বলেন, ‘একাধারে সেনাপ্রধান, তারপর আবার নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনী প্রহসন। ক্ষমতার মসনদে বসেই দল গঠন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দলটি গঠন করে, তাকে আবার জিতিয়ে আনার জন্য ভোট চুরির একটা প্রক্রিয়া এ দেশের শুরু করেছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের পরে তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে এরশাদ ক্ষমতায় এসে জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। এ দেশের কৃষক-শ্রমিকরা সব সময় অবহেলিতই থেকে যায়। এরপর আসলো খালেদা জিয়া। সেও ক্ষমতায় আসার পর দেখা গেল, শুধু জনগণের ভোট চুরি করাই না, দেশের কৃষকের ভাগ্য নিয়েও ছিনিমিনি খেলে; সার পাওয়া যাচ্ছে না, কৃষক আন্দোলন করেছে। আন্দোলন করার অপরাধে ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোজার দিনে শ্রমিকরা মজুরির দাবিতে যখন আন্দোলন করে তখনো প্রায় ১৭ জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছিল এই খালেদা জিয়া। বিদ্যুতের দাবি করেছিল কানসাটে; কৃষকরাই সেচের জন্য পানি পাচ্ছিল না। সেখানেও নয়জন মানুষকে হত্যা করা হয়। তাদের এই অপকর্মের ফলে যখন জনগণ তাদের ওপর বিতশ্রদ্ধ, সেই সময় ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একটা প্রহসনমূলক নির্বাচন হয়, খালেদা জিয়া সেই নির্বাচনে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করে। মাত্র ২২ শতাংশ ভোট পড়েছিল সেখানে। সরাসরি নির্বাচিত কোনো প্রতিপক্ষ ছিল না। কিন্তু জনগণের ভোট চুরি করলে কেউ কিন্তু ক্ষমতায় থাকতে পারে না। বাংলাদেশের জনগণ এ ব্যাপারে খুব সচেতন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের নামে বৃক্ষনিধন করেছে বিএনপি-জামায়াত। তারা সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির টাকাও মেরে খেতো।’
তিনি বলেন, ‘কৃষি জমি কেউ নষ্ট করতে পারবে না। কৃষিজমি নষ্ট করে শিল্পায়ন করা যাবে না। বিশেষ করে তিন ফসলি জমিতে কোনো শিল্প কল-কারখানা করা যাবে না। আমাদের যেন কারও কাছে হাত পেতে চলতে না হয়। এজন্য কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে।’
শেখ হাসিনা জানান, প্রত্যেক বিভাগে একটি করে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণযোগ্য সাইলো নির্মাণ করা হবে। দেশের কৃষি উৎপাদনে সেচকাজ পুরোটুকুই সৌরবিদ্যুৎ নির্ভর করার বিষয়ে পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। প্রাথমিকভাবে খরচ হয়তো বেশি, পরে খরচ কম।
তিনি বলেন, ‘চামড়া যারা সংগ্রহ করবেন, তাদের প্রত্যেকের কাছে লবণ পৌঁছে দেয়া হয়েছে, যাতে চামড়া নষ্ট না হয়। যেখানে-সেখানে কোরবানির করার মাধ্যমে যাতে পরিবেশ নষ্ট না হয়, খেয়াল রাখবেন সবাই।’
Leave a Reply