ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনা করা মামলায় গ্রেপ্তার তিন ও পলাতক সাত আসামির ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য সরবারাহ করার জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান এ আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত হেড অব বিএফআইইউকে (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের হেড) আসামিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য তদন্ত কর্মকর্তাকে সরবরাহের আদেশ দেন।
মামলার ১০ আসামি হলেন শিমুল ভূঁইঁয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভূঁইঁয়া ওরফে আমানুল্যাহ সাঈদ, তানভীর ভূঁইঁয়া, সেলেষ্টি রহমান ওরফে শেলেস্তি রহমান ওরফে শিলাস্তি রহমান, সিয়াম হোসেন, আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলী সাজি, তাজ মোহাম্মদ খান ওরফে হাজী, চেলসি চেরি ওরফে আরিয়া ও জামাল হোসেন।
আবেদনে বলা হয়, মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মামলার ভিকটিম ঝিনাইদহ-০৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে ভারতের কলকাতা নিয়ে যায়। প্রাথমিক তদন্তে ও গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামিরা ভিকটিমকে কলকাতার নিউটাউন এলাকার ভাড়া করা বাসায় নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং প্রমাণ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের মৃতদেহের হাড় ও মাংস আলাদা করে মাংসপিণ্ড টয়লেটের কমোডে ফেলে দেয় এবং হাড়গুলো গারবেজ পলিথিনে ভরে ট্রলি ব্যাগে করে আশপাশের বর্জ্যখালে ফেলে দেয়।
আসামিরা দীর্ঘদিন যাবত ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছিল। তারা পরিকল্পনা করে,মামলার ভিকটিমকে কীভাবে অপহরণ করবে ও টাকা-পয়সা আদায় করবে এবং টাকা-পয়সা নেওয়ার পর কীভাবে হত্যা তথা লাশ গুম করবে তার লোমহর্ষক বর্ণনা গ্রেপ্তার করা আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে।
মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ তথা মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বর্তমানে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলমান আছে। মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ আসামির এনআইডি ও পাসপোর্ট নম্বরের বিপরীতে কোনো ব্যাংকে কয়টা অ্যাকাউন্ট আছে তার তথ্য সরবরাহ করার জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বরাবর আদেশ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।
Leave a Reply