1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন

বগুড়ায় স্ত্রী-সন্তানকে হোটেলে নিয়ে গলাকেটে হত্যা, স্বামী আটক

ইউএস বাংলাদেশ ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২ জুন, ২০২৪

বগুড়া শহরের বনানী এলাকায়‘শুভেচ্ছা’ নামে একটি আবাসিক হোটেলে স্ত্রী আশামনি (২০) ও এক বছর বয়সী শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ আল রাফিকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন সেনা সদস্য আজিজুল হক। আটকের পর তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার সকাল ১১টার দিকে পুলিশ দু’টি লাশ উদ্ধার করে।

আজিজুল হক বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার কালের পাড়া ইউনিয়নের হেউট নগর গ্রামের হামিদুল হকের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল হক হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তবে শিশুর শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা উুদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

নিহত আশামনির ভাই শহরের নারুলী এলাকার বাসিন্দা মেহেদি হাসান সনি জানান,‘সেনা সদস্য আজিজুল হকের সাথে প্রায় তিন বছর আগে তার বোনের বিয়ে হয়। দুই মাসের ছুটি নিয়ে তিনি কয়েক দিন আগে বগুড়ায় আসেন। এরপর আজিজুল গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে ) শহরের নারুলি এলাকায় শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে আসেন। শনিবার বেড়ানোর কথা বলে আজিজুল হক তার স্ত্রী ও ভাগ্নেকে নিয়ে শনিবার বাসা থেকে বের হন।’

মেহেদি হাসান আরো জানান, ‘তার বোনের সাথে ভগ্নিপতি আজিজুল হকের দাম্পত্য কলহ ছিল। তার ধারণা দাম্পত্য কলহের কারণেই তার বোন ও ভাগ্নেকে খুন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিয়ের সময় তারা ভগ্নিপতিকে মোটা অঙ্কের টাকা যৌতুক হিসেবে দিয়েছেন। কিন্তু তার পরেও তিনি নানা অজুহাতে টাকা চাইতেন।’

6 (6)

শুভেচ্ছা হোটেলের ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম জানান, ‘শনিবার সন্ধ্যার পর আজিজুল হক তার স্ত্রী ও এক বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে দোতলার একটি কক্ষে ওঠেন। এরপর রাত ১১টার দিকে তিনি হোটেল থেকে বের হয়ে যান। এরপর রোববার (২ জুন) সকাল ১১টার দিকে আজিজুল হক হোটেলে কক্ষের ভাড়া পরিশোধ করতে আসেন। কিন্তু তখন তার সাথে স্ত্রী ও সন্তান না থাকায় আমাদের সন্দেহ হয়। এরপর আমরা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেই। পরে পুলিশ এসে ওই কক্ষের বাথরুমের ভেতরে আশা মনির গলকাটা বিবস্ত্র লাশ এবং রুমের মধ্যে বস্তাবন্দী মাথাবিহীন সন্তানের লাশ দেখতে পান।’

শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, ‘সেনা সদস্য আজিজুল হক হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার দাবি সে তার সন্তানের মাথা পাশের করতোয়া নদীতে ফেলে দিয়েছে। নিহত শিশুর মাথা খোঁজা হচ্ছে।’

আমাদের ধুনট সংবাদদাতা জানান, সেনা সদস্য আজিজুল হকের গ্রামের বাড়ি হেউটনগরে গিয়ে বাড়ি তালাবদ্ধ পাওয়া গেছে। তার বাবা-মা ওই বাড়িতে বাস করলেও তারা বাড়ি থেকে চলে গেছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com