1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন

অনুমোদন ছাড়া কিভাবে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বিক্রি করছিল কোম্পানিগুলো

ইউএস বাংলাদেশ ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

অনুমোদন ছাড়া বাংলাদেশের বাজারে পাঁচ ধরনের ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় বিক্রির অভিযোগে কোম্পানির মালিকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরই প্রশ্ন উঠেছে, অনুমতি ছাড়াই কিভাবে প্রায় তিন বছর ধরে বাজারে বেচাকেনা চলছে অনুমোদনহীন ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকগুলো?

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কোনো পণ্য উৎপাদনের লাইসেন্স পাওয়ার পর উৎপাদন শুরু করবে। কিন্তু এসব কোম্পানি কোনো অনুমতি ছাড়াই বাজারজাত করা শুরু করেছে। একইসাথে ওই সব পণ্য বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচারণাও করছে।

অসত্য তথ্য দিয়ে ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা ও অনুমোদন ছাড়া পণ্য বিক্রি করায় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে গত ১৪ মে মামলা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসান।

ওই ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়গুলো হলো একমি ও এসএমসি কোম্পানির এসএমসি প্লাস, প্রাণের অ্যাক্টিভ, ব্রুভানা বেভারেজ লিমিটেডের ব্রুভানা, দেশবন্ধু ও আগামী কোম্পানির রিচার্জ এবং আকিজের টারবো।

শুনানি শেষে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত ও পাঁচ শিল্প গোষ্ঠীর মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।

খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসান বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘এগুলোর গায়ে যা লেখা আছে, তাতে বোঝা যায় না এটা পানীয় না কি ওষুধ জাতীয় পণ্য। ওই প্রতিষ্ঠানগুলো বিএসটিআই কিংবা ওষুধ প্রশাসন কারো কাছ থেকেই অনুমোদন না নিয়েই এসব পণ্য বাজারজাত করেছে। যাতে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিও রয়েছে।’

তবে প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, তারা অনুমোদনের জন্য আবেদন করলেও তাতে সাড়া পাওয়া যায়নি।

তাহলে অনুমোদন ছাড়াই কি পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত কিভাবে হলো, এ নিয়ে স্পষ্ট কোনো উত্তর নেই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকেও।

প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াস মৃধা বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এই ইলেক্ট্রোলাইট পণ্যের নির্দিষ্ট কোনো মানদণ্ড না থাকার কারণে আমরা অনুমতি নিতে পারিনি। এজন্য গত জানুয়ারি মাসে আমরা বিএসটিআই’র কাছে একটা চিঠি দিয়েছিলাম যে পণ্যটির মান প্রণয়নের জন্য।”

অনুমোদনের বিষয়ে বিএসটিআই’র উপপরিচালক মো: রিয়াজুল হক বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বাধ্যতামূলক পণ্যের আওতায় পড়ে না। এ কারণে আমরা অনুমোদন দিতে পারি না।’

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডা. খান আবুল কালাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘ইলেক্ট্রোলাইট সলিউশনগুলো যারা বাংলাদেশে বানাবে এবং বাজারজাত করবে, এতে রিয়েলি ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা কেমন থাকবে সেটা ল্যাবরেটরিতে টেস্ট করে তারপর ছাড়পত্র দেয়া প্রয়োজন।’

কেন এবং কিভাবে অনুমোদন ছাড়া বাজারে আসলো এই পণ্যগুলো সেটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

অনুমোদন নিয়ে যে প্রশ্ন
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন বা বিএসটিআই পণ্যের গুণগত মান ও ভোক্তার জন্য উপযোগী খাদ্যদ্রব্য, কৃষিপণ্য, পাটবস্ত্র, রাসায়নিক পদার্থ এবং বৈদ্যুতিক প্রযুক্তির পণ্য সামগ্রীর তদারকি ও লাইসেন্স প্রদান করে থাকে। তাই পণ্য বাজারজাত করার আগে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজটাই হচ্ছে বিএসটিআই-এর অনুমোদন নেয়া।

বাজারজাত করা পণ্যের অনুমোদনের জন্য বাধ্যতামূলক পণ্য অথবা স্বেচ্ছাপ্রণোদিত পণ্য উভয় ক্ষেত্রে একজন উৎপাদনকারী, মোড়কজাতকারী অথবা আমদানিকারককে বিএসটিআই সার্টিফিকেশন মার্কস (সিএম) লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে।

ওই পাঁচ কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর ওই কোম্পানিগুলো দাবি করেছে, এ ধরনের পানীয়র অনুমতি নিতে তারা চেষ্টা করেও পারেননি।

সবার আগে বাজারে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক আনে এসএমসি গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘এসএমসি জেনেশুনে কোনো ভুল করেনি। বিএসটিআইয়ে যে পণ্যের অনুমোদনের অপশনই নাই, সেখানে আমরা কিভাবে অনুমোদন নিবো?’

তিনি বলছেন, ‘আমরা যখন অনুমোদনের জন্য চেষ্টা করেছিলাম। তখন তারা আমাদের বলে আপনারা চালু করেন, যখন এই ক্যাটাগরির মানদণ্ড তৈরি করা হবে, তখন তারা অনুমোদন দেবে।’

একইভাবে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক বাংলাদেশের বাজারে বাজারজাত করেছে প্রাণ গ্রুপ। অনুমোদন ছাড়া আদালত ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকের যে পাঁচটি কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা দিয়েছে তার একটি প্রাণ গ্রুপ।

এই প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াস মৃধা বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘যে সব পণ্যের বিএসটিআই’র মানদণ্ড বা নীতিমালা নেই তা বাজারজাত করতে অনুমোদনের প্রয়োজন পড়ে না। যেগুলোর মান নির্ধারণ করা আছে, সেগুলো বাজারজাত করতে অনুমোদন লাগে, সেগুলো আমরা অনুমোদন নেই।’

তিনি বলছিলেন, মানদণ্ড না থাকার কারণে এটির অনুমোদনের প্রয়োজন হয়নি তাদের।

বিএসটিআই’র উপ-পরিচালক রিয়াজুল হক বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘যেহেতু আমাদের দেশে এই পণ্যটির স্ট্যান্ডার্ডই নাই সে কারণে, সে কারণে আমরা লাইসেন্স দিতে পারছি না। তবে আমাদের চিন্তা রয়েছে শিগগিরই একটা স্ট্যান্ডার্ড আমরা তৈরি করব।’

খাদ্য কর্তৃপক্ষের মামলার কারণ কী?
বিএসটিআই বলছে, এই পণ্যটি বাজারে নতুন হওয়ার কারণে তারা এখনো এই পণ্যটির মানদণ্ড নির্ধারণ করেনি। তবে শিগগিরই তারা এটির মান নির্ধারণে কাজ শুরুর কথা জানান।

এমন অবস্থায় অনুমোদন ছাড়া পণ্য বাজারজাত করায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিদর্শক কামরুল হাসান গত ১৪ মে মামলা করেন বাজারে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক আনা সাত কোম্পানির বিরুদ্ধে।

শুনানি শেষে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত ওই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।

খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসান বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারে না এগুলো ওষুধ না ড্রিংক। ঢাকা ঢোল পিটিয়ে এগুলোর বিজ্ঞাপনও চলছে । নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী যা অপরাধ। আমরা বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বললেও কোম্পানিগুলো শোনেনি।’

তবে কোম্পানিগুলো বলছে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ধরনের পানীয় রয়েছে। এ ধরনের পানীয়র ক্ষেত্রে ড্রাগের কোনো অনুমোদন লাগে না।

এমন অবস্থায় আদালত ওই কোম্পানিগুলোর মালিকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নিতে বললেও, পণ্যটি বাজারে থাকা না থাকা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। যে কারণে এখনো বাজারে এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে।

প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াস মৃধা বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘আমরা এটি নিয়ে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে, আদালত এখনো বলেনি এই পণ্য বিক্রি করা যাবে না। তাই এখনো এটি বাজারে বিক্রি চলছে। পরবর্তীতে আদালত যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে সেটা পালন করব।’

ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কি?
ইলেক্ট্রোলাইট হচ্ছে এক ধরনের খনিজ বা বৈদ্যুতিক চার্জ-যুক্ত পদার্থ। এগুলো রক্ত, টিস্যু, অঙ্গ এবং অন্যান্য শারীরিক তরলগুলোতে পাওয়া যায়। সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ক্লোরাইড, ফসফেট এবং ম্যাগনেসিয়াম সবই ইলেক্ট্রোলাইট।

চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা বলছেন, ইলেক্ট্রোলাইট শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। এগুলো শরীরে পানির পরিমাণের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

হঠাৎ ডায়রিয়া এবং বমি হওয়ার মতো সমস্যা হয়, শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়। ডিহাইড্রেশন থেকে মুক্তি পেতে, চিকিৎসকরা ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় পানের পরামর্শ দেন।

স্পোর্টস মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. সালেহউদ্দিন মাহমুদ তুষার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস পাওয়া যায়। এটা স্পোর্টস ড্রিংক হিসেবে বেশি প্রচলিত। আমাদের দেশে আগে এটা ছিল না। তবে এখন এটা পাওয়া যায়।’

এই চিকিৎসক বলছেন, আমাদের শরীরে যখন অনেক ঘাম হয় তখন যে লবণ বের হয়ে যায়, এর ঘাটতি পূরণের উপাদানগুলো রয়েছে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকে। যারা ওয়ার্ক আউট করে, বা খেলাধুলা করে তাদের জন্য এটা প্রয়োজনীয়।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, মানুষের শরীরের পিএইচ স্তর বজায় রাখতে এবং কোষের ভেতরে এবং বাইরে পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করে ইলেক্ট্রোলাইট। এটি পেশী, স্নায়ু এবং অন্যান্য অঙ্গকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে।

পুষ্টিবিদ সামিয়া তাসনিম বিবিসি বাংলাকে বলেন, কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক উপকারী হতে পারে। যেমন, যারা দীর্ঘমেয়াদী ব্যায়াম, শারীরিক পরিশ্রম করে বা অতিরিক্ত ঘাম কিংবা ডায়রিয়া জনিত কোনো কারণে শরীর আক্রান্ত হয় তখন এটি কাজে দেয়।

ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস কী স্বাস্থঝুকির কারণ?
শারীরিক পরিশ্রম, ব্যায়াম কিংবা অন্য কোনো কারণে যদি অনেক ঘাম হয় বা শরীর থেকে লবন নির্গত হয় তখন ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক কার্যকরী হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা।

তারা বলছেন, কেউ যদি পর্যাপ্ত পানি খায় এবং প্রস্রাব স্বাভাবিক থাকে, তবে নিয়মিত ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় খাওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে যে পরিমাণ পানি গ্রহণ করেন, এর চেয়ে বেশি তরল হারালে এবং ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে ইলেক্ট্রোলাইট হারাবেন।

ডা. কালাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘শরীর থেকে বেশি ঘাম নির্গত হলে সোডিয়াম কমে গেলে ব্রেনের ক্ষতি হয়। পটাশিয়াম কমলে হার্টের ক্ষতি হয়। গরমে কাজ করলে ঘাম হবে তখন এ জাতীয় পানীয় পান করা যেতে পারে।’

গত তিন বছর আগেও বাংলাদেশে এ জাতীয় ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক পাওয়া যেতো না। ২০২১ সালে সর্বপ্রথম এই ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক বাজারে আসতে শুরু করে।

চিকিৎসকরা বলছেন, এটি বাজারে আসার পর অনেকে সাধারণ এনার্জি ড্রিংকের সাথে গুলিয়ে ফেলছে। যে যার ইচ্ছামতো এগুলো খাচ্ছে। এটা স্বাস্থঝুকির কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন তারা।

স্পোর্টস মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. তুষার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘এনার্জি ড্রিংকও যেমন অতিরিক্ত খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ তেমনি, ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক আরো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এটি উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রেও একটা ভূমিকা রাখে।’

এই চিকিৎসক বলছেন, ‘শরীরে ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালেন্স তৈরি হলে স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। যে কারণে আমরা অতিরিক্ত ডাব খেতেও নিষেধ করি।’

পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই ধরনের পানিতে অত্যধিক পরিমাণ সোডিয়াম ও পটাশিয়াম থাকে। যে কারণে অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনে এ জাতীয় পানীয় পান করলে উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনি রোগ দেখা দিতে পারে।

পুষ্টিবিদ মিজ তাসনিম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক খাওয়ার জন্য হাইপারক্যালেমিয়া হতে পারে। এটি ঘটে যখন শরীরে অত্যধিক পটাসিয়াম থাকে, যা বিপজ্জনক হতে পারে হৃদযন্ত্রের জন্যও।’

ফলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ইচ্ছেমত এসব পানীয় পান করা হলে স্বাস্থের জন্য উপকারের বদলে উল্টো বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে বলে বলছেন চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা।

সূত্র : বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com