গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। তারা বলেছে, ইসরাইলি বাহিনী রাফায় হামলা করবে না, এই মর্মে যুক্তরাষ্ট্র যদি নিশ্চয়তা দেয়, তবে তারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে।
হামাসের সিনিয়র মুখপাত্র ওসামা হামদান বলেন, ‘আমরা এখনো প্রধান ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করছি। এগুলো হলো গাজায় পূর্ণ যুদ্ধবিরতি এবং ইসরাইলি সৈন্যের পুরোপুরি প্রত্যাহার।’
তিনি আল জাজিরাকে বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে নেতানিয়াহুর কাছ থেকে যে বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে, তাতে তিনি স্পষ্টভাবে বলছেন যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হোক বা না হোক, তিনি রাফায় হামলা অব্যাহত রাখবেন। এর মানে হলো কোনো যুদ্ধবিরতি হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আমাদের উপলব্ধি হলো, রাফাসহ গাজায় আর কোনো হামলা হবে না।’
ইসরাইলের ওপর কঠোর হতে বাইডেনের প্রতি ডেমোক্রেট কংগ্রেস সদস্যদের আহ্বান
মার্কিন কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন ডেমোক্রেট সদস্য ইসরাইলের ওপর কঠোর হতে বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তারা গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরাইলের আচরণে পরিবর্তন না এলে তেলআবিরের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার বিষয়টি বিবেচনা করতে বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার কংগ্রেসের ৮৬ জন ডেমোক্রেট স্বাক্ষরিত চিঠি হোয়াইট হাউসে পাঠানো হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরাইলের প্রতি কঠোর হতে বাইডেনের ওপর চাপ তৈরি করা হয়।
আইনপ্রণেতারা গাজায় ইসরাইল সরকারের যুদ্ধ পরিচালনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কারণ এটি ইচ্ছাকৃতভাবে মানবিক সহায়তা বন্ধের সাথে সম্পর্কিত।
চিঠিতে ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, গাজায় মার্কিন সমর্থিত মানবিক ত্রাণ সরবরাহের ওপর ইসরায়েলের বাধা প্রদানের কারণে নজিরবিহীন মানবিক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে।
আইনপ্রণেতারা বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানান, তিনি যেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে স্পষ্ট করেন যে ত্রাণ সরবরাহে যে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নিরাপত্তা সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে ঝুঁকি তৈরি হবে।
চিঠিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন তাদের মধ্যে হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটি এবং ফরেন এফেয়ার্স কমিটির ডেমোক্রেটরা রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গতবছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পর থেকে তেলআবিব যে পাল্টা অভিযান চালিয়ে আসছে তাতে নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে আসছেন বাইডেন। এ কারণে তিনি তীব্র সমালোচিত হচ্ছেন।
গাজায় ইসরাইলি হাসমলার প্রতিবাদে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র বিক্ষোভ তীব্ররূপ নিয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা, এএফপি
Leave a Reply