সাম্প্রতিক সংসদীয় নির্বাচনে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের নিরঙ্কুশ বিজয় হয়। এই বিজয়কে চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখতে এবং প্রতিবেশী ভারতের ওপর মালদ্বীপের নির্ভরতা হ্রাস করার জন্য ছয় মাস আগে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তার নীতির প্রতি দৃঢ় সমর্থন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মুইজ্জু বেইজিং-এর সাথে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করবেন এবং বিদায়ী বিরোধী দল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে আটকে যাওয়া চীনা অর্থায়নের অবকাঠামো প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তার দল অ্যাপার্টমেন্ট, সেতু এবং নতুন একটি বিমানবন্দর নির্মাণসহ অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বেইজিং-এর বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভে যোগ দেয়া বেইজিংপন্থী প্রশাসনের অধীনে এক দশক আগে মালদ্বীপে চীন তার পদচিহ্ন প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু মুইজ্জুর পূর্বসূরী সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ চীনের কাছে মালদ্বীপের বিশাল ঋণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতের সাথে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলার সময় এর প্রভাব হ্রাস পায়।
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট জানুয়ারিতে চীন সফরের মাধ্যমে বেইজিং-এর সাথে সম্পর্ক জোরালো করার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। তিনি প্রথা অনুসারে, নয়াদিল্লির পরিবর্তে চীনে তার প্রথম সরকারি বিদেশ সফর করেন। চীন ও মালদ্বীপ উভয়েই ‘ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বে’ সম্মত হয়েছে।
গত সপ্তাহে পার্লামেন্টে মুইজ্জুর দলের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর বেইজিং-এর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা মালদ্বীপের সাথে সহযোগিতা জোরদার করতে প্রস্তুত।
ভারত মহাসাগরে বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জাহাজ চলাচলের পথে অবস্থিত মালদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কার মতো ক্ষুদ্র দেশগুলো এশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী চীন এবং ভারতের মধ্যকার ভূরাজনৈতিক লড়াইয়ের নতুন কেন্দ্রবিন্দু।
ভারতের দক্ষিণ প্রান্তের কাছে অবস্থিত মালদ্বীপের প্রাথমিক প্রতিরক্ষা অংশীদার ছিল ভারত। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, পার্লামেন্টের শক্তিশালী বিজয় মালদ্বীপের নতুন নেতাকে বেইজিং-এর সাথে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করার ম্যান্ডেট দিয়েছে। গত মাসে দুই দেশ একটি সামরিক সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এই চুক্তির অধীনে বিনামূল্যে সামরিক সহায়তা দেয়া হবে।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা
Leave a Reply