জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার লক্ষ্যে রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চীনা নেতা শি জিনপিংকে প্রভাব খাটাতে বলেছেন।
বেইজিংয়ে মঙ্গলবার বৈঠক শেষে শোলজ সামাজিক মাধ্যম এক্সে বলেন, ‘চীনের কথার দাম আছে রাশিয়ায়। তাই আমি প্রেসিডেন্ট শিকে বলেছি রাশিয়ার ওপর প্রভাব খাটাতে, যাতে পুতিন শেষ অবধি এই মারাত্মক যুদ্ধ বন্ধ করেন।’
তিনি আরো বলেন, শি সুইজারল্যান্ডে একটি শান্তি সম্মেলনকে সমর্থন করতে সম্মত হন।
চীনে শোলজের তিন দিনের সফরের একেবারে শেষে এই বিবৃতি দেয়া হলো। এই সফরের সময়ে তিনি শি এবং অন্যান্য নেতাদের সাথে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
শোলজ মঙ্গলবার এই যুদ্ধের সময়ে পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি সম্পর্কে হুঁশিয়ার করে দেন। গত মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লামির পুতিন বলেন যে দেশটির স্বাধীনতা কিংবা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়লে তিনি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত আছেন।
শোলজ শিকে আরো বলেন, মস্কোর এই আগ্রাসন বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং দু’টি দেশ ‘ইউক্রেনের জন্য একটি ন্যায্য শান্তি’ অর্জনের লক্ষ্যে একত্রে কাজ করতে পারে।
চীনের রাষ্ট্রপরিচালিত সংবাদ মাধ্যম অনুযায়ী, এই সঙ্কটের ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন যে সঙ্কটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য প্রযোজ্য সকল প্রচেষ্টাকে চীন উৎসাহিত ও সমর্থন করে।
শি আরো বলেন, চীন ও জার্মানি হচ্ছে যথাক্রমে বিশ্বের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। আর বেইজিং ও বার্লিনকে ‘দীর্ঘস্থায়ী ও কৌশলগত দিক দিয়ে এই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে দেখতে হবে ও উন্নয়ন ঘটাতে হবে এবং বিশ্বে আরো স্থিতিশীলতা ও নিশ্চয়তা আনার জন্য একত্রে কাজ করতে হবে।
এই বিবৃতির আগেই ইউক্রেন যুদ্ধের সময়ে মস্কোর সাথে অব্যাহতভাবে ঘনিষ্ঠ কুটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের কারণে বেইজিং ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। এই সম্পর্কের জন্যই ব্যাপক পশ্চিমি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া ভালোভাবেই টিকে আছে।
চীন অবশ্য দাবি করে যে এই সঙ্ঘাতে তারা নিরপেক্ষ দল এবং যুক্তরাষ্ট্রের দোষারোপ সত্ত্বেও তারা বলছে যে এই আক্রমণে সহায়তা করতে তারা কোনো সামরিক সাহায্য দেয়নি এবং দেবে না।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
Leave a Reply