ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলশনারি গার্ডের নৌবাহিনী কমান্ডার মঙ্গলবার বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইসরাইলের উপস্থিতিকে তেরাহন হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চরণ করে বলেছেন, তেরান প্রয়োজন মনে করলে হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেবে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলি হামলায় দুই সিনিয়র কমান্ডারসহ রেভ্যুলশনারি গার্ডের সাত কমান্ডার নিহত হওয়ার প্রতিশোধ গ্রহণের কথা ঘোষণা করছে ইরান। এ নিয়ে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনা আরো বেড়েছে।
ইরানের রেভ্যুলশনারি নৌবাহিনীর কমান্ডার আলিরেজা তাঙসিরি বলেন, ‘প্রত্যাঘাত ছাড়া আমরা আঘাত সহ্য করতে পারি না। তবে আমাদের বদলায় তাড়াহুড়া করব না।’
ইরানের আধা সরকারি স্টুডেন্ট নিউজ অ্যাজেন্সি এ খবর প্রকাশ করে।
কমান্ডার আলিরেজা বলেন, ‘আমরা হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে পারি। তবে আমরা তা করব না। অবশ্য, শত্রু যদি আমাদের বাধা দিতে থাকে, তবে আমরা আমাদের নীতি পর্যালোচনা করব।’
ইরান অতীতেও ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে উত্তেজনার প্রতিক্রিয়ায় হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিল।
বিশ্বের মোট তেলের প্রায় এক পঞ্চমাংশ প্রতিদিন এই প্রণালী দিয়ে পারাপার হয়। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর র্পন্ত প্রতিদিন গড়ে ২০.৫ মিলিয়ন ব্যারেল অশোধিত তেল, কনডেনসেট এবং তেলজাত পণ্য হরমুজ প্রণালী দিয়ে অতিবাহিত হয়।
ইরান থেকে উপসাগরজুড়ে অবস্থিত সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০২০ সালে মার্কিন-সমর্থিত কূটনৈতিক প্রয়াসে ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে। তবে দেশটির ইরানের সাথেও স্বাভাবিক কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। জানুয়ারিতে এক সিনিয়র কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরাইলকে বলেছিলেন যে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে ইসরাইল ও আমিরাতের মধ্যকার উষ্ণ সম্পর্ক শীতল হয়ে যেতে পারে।
ইরানি কমান্ডার বলেন, আমরা জানি যে ইহুদিবাদীরা (ইসরাইল) অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসেনি, বরং নিরাপত্তা ও সামরিক কাজের জন্য এসেছে। এটা আমাদের জন্য হুমকি এবং তা হতে দেয়া উচিত নয়।
সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানি কমান্ডার রেজা জাহেদি এবং অন্য ছয় কমান্ডার নিহত হওয়ার পর থেকে ইসরাইল প্রতিশোধের আশঙ্কায় বেশ সতর্ক রয়েছে। তারা ইরানের পরমাণু স্থাপনা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার হুমকি দিয়ে আসছে।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল
Leave a Reply