1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫২ অপরাহ্ন

জাপান ও ফিলিপাইনের নেতাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন বাইডেন

ইউএস বাংলাদেশ ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪

দক্ষিণ চীন সাগরে ত্রিপক্ষীয় সামুদ্রিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে হোয়াইট হাউসে একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রকে সেখানে স্বাগত জানাবেন তিনি।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও তার দুই এশীয় মিত্রের মধ্যে প্রথমবারের মতো এই বৈঠক হতে যাচ্ছে। এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বাড়াতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। এই কৌশলের অংশ হিসেবে, তিনি ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কগুলোর পরিসর বাড়াতে চাইছেন।

যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ফিলিপাইনের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে দক্ষিণ চীন সাগরে নৌ চলাচলের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবেলায় সতর্কতা হিসেবে গত বছর জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে একই ধরণের বৈঠক করেছিলেন বাইডেন।

ত্রিপক্ষীয় সামুদ্রিক সহযোগিতার জোরদার করতে চায় ম্যানিলা। আর, ম্যানিলা এটা করতে চায় ত্রিপক্ষীয় নৌ-টহলের মধ্য দিয়ে। এই উদ্যোগ নেয়া হলে বেইজিং তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত হোসে ম্যানুয়েল রোমুয়ালদেজ গত সপ্তাহে এক ব্রিফিং-এ সংবাদদাতাদের বলেন, যৌথ টহলের বিষয়টি নিয়ে তিনি জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইতোমধ্যেই বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। আর, এই উদ্যোগ শিগগিরই ফলপ্রসু হবে বলে মনে করছেন তিনি।

হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। তবে, হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, নেতারা তাদের বৈঠকে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করবেন।

পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি প্যাট রাইডার ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, তাদের লক্ষ্য দক্ষিণ চীন সাগরে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে উন্মুক্ত রাখার বিষয়ে এবং পুরো অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার বিষয়ে উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চীনা উপকূলরক্ষী জাহাজগুলো ফিলিপাইনের জাহাজের বিরুদ্ধে জল কামান মোতায়েন করেছে। এমন উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক হতে যাচ্ছে। ১৯৯৯ সাল থেকে ফিলিপাইনের সৈন্যরা দক্ষিণ চীন সাগরের স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের ওপর তাদের দেশের সার্বভৌমত্বের দাবি বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

১৯৫১ সালে সম্পাদিত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তির অধীনে ফিলিপাইন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্রদেশ। এর অর্থ হলো, চীনের সাথে স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে ফিলিপাইনের সংঘাত যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পরোক্ষভাবে একটি সমস্যা।
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com