গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কায়রো আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। মিসরীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয় যে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুতদের প্রত্যাবর্তন, বন্দী বিনিময় নিয়ে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস তার আগের অবস্থানে অটল রয়েছে।
মিসরের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল আল-কাহেরা নিউজ জানায়, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে সকল পক্ষের মধ্যে কায়রো আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। চ্যানেলটি এক সিনিয়র মিসরীয় সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সোমবার ভোর রাতে এ তথ্য জানায়।
উল্লেখ্য, ছয় মাসের সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্য ইসরাইল ও হামাস রোববার তাদের প্রতিনিধিদল পাঠায়।
আল-কাহেরা যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অগ্রগতির দাবি করলেও হামাস বা অন্য কোনো পক্ষের কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আল-কাহেরা জানায়, হামাস এবং কাতারের প্রতিনিধিরা কায়রো ত্যাগ করছেন, তারা চূড়ান্ত সম্মতি নিয়ে দু’দিনের মধ্যে ফিরে আসবেন। আর ইসরাইলি ও মার্কিন প্রতিনিধিরা কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মিসরের রাজধানী ত্যাগ করছেন। এতে আরো বলা হয়, পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
হামাস রোববার আবারো তাদের দাবির কথা জানিয়েছে। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনীর প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুতদের প্রত্যাবর্তন, গাজায় বন্দী ইসরাইলিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্ত করা।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হয়। ইসরাইলি হামলায় ইতোমধ্যেই ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এদিকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর প্রধান লে. জেনারেল হারজি হ্যালেভি রোববার বলেছেন, গাজা উপত্যকা থেকে তার কিছু স্থল সৈন্য সরালেও হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, যুদ্ধ এখনো অনেক বাকি আছে।
তিনি আরো বলেন, পণবন্দী চুক্তির অংশ হিসেবে সামরিক অস্ত্রবিরতি ঘটলে কিভাবে যুদ্ধে ফিরতে হয়, তা ইসরাইলি বাহিনী জানে। তবে এখন বন্দীদের প্রত্যাবর্তন অন্য যেকোনো লক্ষ্যের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই যুদ্ধ ভিন্নভাবে করছি। আগের যুদ্ধগুলোর চেয়ে এটি ভিন্ন।’ এক বিবৃতিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট এবং টাইমস অব ইসরাইল
Leave a Reply