আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির অভিশাপ দণ্ডিত পলাতক তারেক রহমান। সে যতদিন বিএনপির নেতৃত্বে থাকবে ততদিন বিএনপি সঠিক পথে আসবে না। দলটি ভুলের চোরাবালিতেই আটকে আছে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস পালনের প্রস্তুতি ও খুলনা বিভাগীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি সব এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নিজের ঘরেই গণতন্ত্র নেই। লন্ডন থেকে যার হুকুমে বিএনপি চলে তার ফ্রি স্টাইল নেতৃত্ব এখন বিএনপি নেতাদের মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। তারা বুঝতে শুরু করেছে, তারেক রহমান যতদিন নেতৃত্বে আছে ততদিন বিএনপি ভুলের চোরাবালিতে আটকে আছে। এখান থেকে তারা আর বের হতে পারবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ বিএনপি নেতারাও এই আন্দোলনের ডাককে ভুয়া বলে। বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ। ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েও তারা ব্যর্থ। বিএনপি নেতাদের শোবার ঘরে, রান্নাঘরে ভারতীয় পণ্য। তাদের তথাকথিত এই ডাক ভাঁওতাবাজি। এই ভাঁওতাবাজির অবসান হয়েছে। আজকে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি দিশেহারা।
বিএনপির ৮০ ভাগ নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার- দলটির এমন দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল কথায় কথায় চোখের জল ফেলেন। ৮০ পার্সেন্ট নেতাকর্মী নাকি নির্যাতনের শিকার ও জেলে বন্দি। কোন কারাগারে তারা বন্দি? আমির খসরু, মির্জা আব্বাস সবাই তো একে একে বাইরে। (বন্দিদের) তালিকাটা প্রকাশ করুন। মিথ্যাচার করে জাতিকে আর বিভ্রান্ত করবেন না।
সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্র হত্যাকারীরা গণতন্ত্রের নামে মায়াকান্না করছে। তাদের গণতন্ত্রের কথা শুনলে হাসি পায়।
তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতির সংকট পুরোপুরি কেটে গেছে, তা বলা যাবে না। দেশে দেশে যুদ্ধ চলছে। কোথাও সংকট হলে তা অন্য দেশে এসে পড়ে। ডলার সংকট আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে জড়িত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের ক্রাইসিসম্যান। তিনি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন। পণ্যের মূল্য কমেছে। আস্তে আস্তে আরও সহনীয় হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ অন্য নেতারা।
এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় যোগদান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত এই সভায় তিনি মফস্বলের হাসপাতালগুলোর মান উন্নত করার ওপর জোর দেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সব মন্ত্রণালয়ের মধ্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে গুরুত্ব দিতে হবে। পদ্মার ওপারে একটি আধুনিক ও বড় হাসপাতাল করার প্রস্তাব আছে। ক্যানসার, কিডনিসহ কিছু কিছু জটিল রোগের জন্য বাইরে যেতে হয়।
উপ কমিটির চেয়ারম্যান আফম রুহুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানাসহ উপ কমিটির সদস্যরা। পরে দেশের পাঁচটি হাসপাতালে উপকমিটির পক্ষ থেকে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।
Leave a Reply