উত্তেজনাপূর্ণ লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীন উভয়পক্ষ শক্তি বৃদ্ধি করছে। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তে উভয়পক্ষের উচ্চপর্যায়ের সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১২ ঘণ্টার বৈঠকে কোনো সমাধান আসেনি। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।
খবরে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপক্ষের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলার পর রাত ১১টায় শেষ হয়েছে। চীন ক্রমশ নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে ভেতরের দিকে ঘাঁটি তৈরি করতে শুরু করেছে। একটি সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতোমধ্যে ফিঙ্গার ৪-এর ভেতরে স্থায়ীভাবে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে চীন। ভারতকে চাপে রাখতে আরও একধাপ এগিয়েছে বেইজিং। প্যাংগং লেক এবং গালওয়ান উপত্যকা সমস্যা সমাধানে ভারত বা চীন কেউই সেনা সরাতে রাজি হয়নি। ভারত বলছে, প্যাংগং লেক থেকে তিন কিলোমিটার পিছু হটা কিছুতেই সম্ভব নয়। কারণ তা হলে ফিঙ্গার-৪ থেকে সরে আসতে হবে। ফিঙ্গার-৪ সবসময় ভারতের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
এদিকে গালওয়ান নদীর তীরবর্তী চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সশস্ত্র সদস্য ও সেনাছাউনি বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ভারতের সেনাবাহিনী টি-৯০ বিশমা ট্যাংক মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়।
উল্লেখ্য, ১৫ জুন পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার কথা জানায় ভারত সরকার। ওই ঘটনার পর দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের সেনা কর্মকর্তাদের বৈঠকও হয়েছিল। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে থাকা সেনাছাউনিটি সরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও চীন তা বাস্তবায়ন করেনি। বরং উপগ্রহের ছবিতে দেখা যায়, বিতর্কিত এলাকায় চীন নতুন করে অবকাঠামো নির্মাণ করছে, যা জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেও ছিল না।
এদিকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এখন বাণিজ্যযুদ্ধে রূপ নিচ্ছে। চলতি সপ্তাহেই ভারত চীনের তৈরি কয়েক ডজন মোবাইল অ্যাপস নিষিদ্ধ করেছে। এ ছাড়া আরও চীনাপণ্য নিষিদ্ধের কথা ভাবছে দিল্লি।
Leave a Reply