1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন

অবন্তিকার আত্মহত্যা : শিক্ষক ও সহপাঠীর বিরুদ্ধে মায়ের মামলা

ইউএস বাংলাদেশ ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আম্মান সিদ্দিকী নামে এক সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় নিহত অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আম্মান সিদ্দিকীর নাম উল্লেখ করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: ফিরোজ হোসেন।

ওসি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় তার মা মামলা করেছেন। মামলায় দু’জনকে আসামি করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত দু’জনকে ঢাকায় নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। এরপর রাতে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে আটক করে পুলিশ। কুমিল্লা পুলিশের একটি দল ঢাকার পথে রয়েছে। আটক এ দু’জনকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তাদের কাছে হস্তান্তর করবে বলে জানান ওসি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে আত্মহত্যা চেষ্টার আগে ফেসবুকে দেয়া দীর্ঘ এক পোস্টে অবন্তিকা জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেন। এরপর কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

ফাইরুজ অবন্তিকা কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার বাসিন্দা। তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক জামাল উদ্দিনের মেয়ে।

অবন্তিকার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এএনএম জোবায়ের।

আত্মহত্যার আগে ফেসবুক পোস্টে অবন্তিকা লিখেছেন, ‘আমি যদি কখনো সুইসাইড করে মারা যাই, তবে আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে আমার ক্লাসমেট আম্মান সিদ্দিকী আর তার সহকারী হিসেবে তাকে সাপোর্টকারী জগন্নাথের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। আম্মান যে আমাকে অফলাইন অনলাইনে থ্রেটের ওপর রাখতো সে বিষয়ে প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেও আমার লাভ হয় নাই। দ্বীন ইসলাম আমাকে নানানভাবে ভয় দেখায় আম্মানের হয়ে যে আমাকে বহিষ্কার করা ওনার জন্য হাতের ময়লার মতো ব্যাপার। আমি জানি এখানে কোনো জাস্টিস পাবো না।’

পোস্টে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘আমি ভিসি সাদেকা হালিম ম্যামের কাছে আপনি এই প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক হিসেবে আপনার কাছে বিচার চাইলাম। আর আমি ফাঁসি দিয়ে মরতেসি। আমার ওপর দিয়ে কী গেলে আমার মতো নিজেকে এতো ভালোবাসে যে মানুষ সে মানুষ এমন কাজ করতে পারে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com