নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
সোমবার সকালে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, মিয়ানমারের রাখাইনের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে চলমান সংঘর্ষের জেরে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত বিজিপির ৯৫ জন সদস্য অস্ত্রসহ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বিজিবি তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে দিয়েছে। গতকাল রোববার সকালে প্রথমে ১৪ জন বিজিপি সদস্য বিজিবির কাছে আশ্রয় নেয়। পরে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের আশ্রয় নেয়ার সংখ্যা বাড়তে থাকে। রোববার রাতে বিজিপির ৬৮ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আজ সকাল পর্যন্ত ৯৫ জন বিজিপি সদস্য তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে এসে বিজিবির কাছে আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি আরো জানান, আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের মধ্যে আহত ১৫ জন সদস্যকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুই জন বিজিপি সদস্যকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাতে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল রোববার রাত ১১টার পর থেকে ঘুনধুম সীমান্তের ওপারে ব্যপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। রাতভর এই গোলাগুলি চলে বলে জানিয়েছেন উখিয়া পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী।
এতে ঘুনধুম ও পালংখালী সীমান্ত এলাকার মানুষের নির্ঘুম রাত কাটে। সকালে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়নি বলে জানান তিনি।
Leave a Reply