জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা অন্তত তিনজন সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। তবে কিছু সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে ৩৪ জন আহতের তথ্য জানিয়েছে।
এই হামলার পর কড়া হুঁশিয়ার বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি এ হামলার জন্য ইরান সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যদিও তথ্য এখনো সংগ্রহ করা হচ্ছে তবে এ হামলা চালিয়েছে ইরাক ও সিরিয়ায় সক্রিয় ইরান সমর্থিত মৌলবাদি গোষ্ঠী।’
তিন সেনাসদস্য নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আজ আমেরিকার হৃদয় দুঃখভারাক্রান্ত। সঠিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের পছন্দমতো উপায়ে হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, আমরা দায়ীদের আমাদের পদ্ধতিতে জবাবদিহির আওতায় আনবো।’
হামলায় নিহত তিন সেনাকে ‘দেশপ্রেমিক’ বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, ‘আমরা তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের পবিত্র দায়িত্ব পালন করে যাব। আমরা তাদের বীরত্ব ও সম্মানের মূল্য দেওয়ার চেষ্টা করব। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের যে প্রতিশ্রুতি ছিল, তা আমরা ধরে রাখব।’
এদিকে এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জর্ডানে কয়েক হাজার মার্কিন সেনার অবস্থান রয়েছে। অন্তত তিন হাজার সেনা দেশটিতে আছে। এ ছাড়া গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো জর্ডানে মার্কিন সেনাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হলো বলে খবরে বলা হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন থেকে এখন পর্যন্ত হতাহত সেনাদের আহতের ধরণ সম্পর্কে কিছু জানায়নি বলে স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে জর্ডানে মার্কিন সেনা নিহতের ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। গাজায় ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর ওপরও হামলার পরিমাণ বেড়েছে। তবে যুদ্ধ শুরুর পর মধ্যপ্রাচ্যে প্রথমবারের মতো হামলায় মার্কিন সেনা নিহতের ঘটনা ঘটলো।
Leave a Reply