যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়, সে বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পিটার হাস।
সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এসেছিলেন। তার সঙ্গেই আমার অনেক ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। আপনারা (সাংবাদিকরা) জানেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে ৫২ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও একটি বড় বাণিজ্যিক অংশীদার।’
তিনি বলেন, ‘আমি গত ৫২ বছরের পথচলায় যুক্তরাষ্ট্রের অব্যহত সহায়তায় তাদের ধন্যবাদ জানয়েছি। আমরা উভয়েই আমাদের সর্ম্পকে ঘনিষ্ঠ করতে একমত হয়েছি, এবং সে লক্ষ্যে কাজ করব বলে আলোচনা করেছি।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নতুন সরকারের সঙ্গে তাদের সর্ম্পক উন্নয়ন ও ঘনিষ্ট করতে এবং আমাদের বাণিজ্যকে আরও বিস্তৃত করতে কাজ করবে বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। একইসঙ্গে দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আরও বাড়াতে আমার একসঙ্গে কাজ করব বলে আলোচনা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আপনার জানেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের নানান বিষয়ে সর্ম্পক আছে। আমাদের কো-অপারেশন আছে। যেমন আমাদের জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে ও ফেনাটিজম, বিশ্বব্যাপী ফেনাটিজম যে বাড়ছে সেটি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে আমরা দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করছি। ভবিৎষতে আরও ঘনিষ্টভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে আমরা আলোচনা করেছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘গত নির্বাচনে অনেকেই বাংলাদেশের নির্বাচনকে পর্যবেক্ষণ করতে এসেছে, সেই বিষয়টি আলোচন হয়েছে। বাংলাদেশে একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে। অলমোস্ট ৪২ শতাংশ ভোট পড়েছে। যেটা ভালো ভোটের র্টানআউট। কারণ আপনার জানেন যে, নির্বাচনের দিন অনেক কুয়াশা ও ঠান্ডা ছিল। সেটা না হলে মোট ভোট কাস্ট আরও ১০ শতাংশ বাড়ত। এগুলো সব বিষয় নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মূল কথা হলো আমরা দুই দেশ আমাদের সর্ম্পক, আমাদের বাণিজ্যকে বিস্তৃত করার লক্ষ্যে একই সঙ্গে আমাদের দেশে জঙ্গি দমন ও ফেনাটিজম মোকাবিলা করার জন্য ও অন্যান্য সব ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা বাড়াতে ও কাজ করতে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নির্বাচন নিয়ে কিছু জানতে চেয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নির্বাচন নিয়ে নিজ থেকে কোনো প্রশ্নের অবতারণা করেননি। বরং আমি তাদের দেশ থেকে যে পর্যবেক্ষক এসেছে তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছি। তিনি নিজের থেকে এ বিষয়ে কোনো অবতারণা করেননি। কোনো প্রশ্নও তোলেননি। আমি নিজের থেকে বাংলাদেশে যে একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে এ বিষয়টি এনেছি, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্যের কথাটি এনেছি। গত ৫ তারিখ পেট্রল দিয়ে একটি পরিবার জ্বালিয়ে দিয়েছে, বহু মানুষকে জ্বালিয়ে দিয়েছে, ট্রেন জ্বালিয়েছে। ধারাবাহিকভাবে তারা যে নৈরাজ্য করছে এই বিষয়টি অবতারণা করতে গিয়ে নির্বাচনের বিষয়টি এসেছে।’
র্যাবের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সে বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে উভয় দেশ কাজ করছি।’
Leave a Reply