কার্যালয়ে কর্মীসভায় যোগ দেন এবং দুপুর ২টা পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মী ও গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
সভায় তিনি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের কারণ সম্পর্কে কথা বলেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ আলোচনার পর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব তাকে অর্পণ করেন। কিন্তু নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি হঠাৎ করে বদলে যেতে থাকায় তিনি দ্বিধায় পড়ে যান।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগের মুহূর্তগুলোর কথা স্মরণ করে কাদের বলেন, ‘আমি প্রতিটি পদক্ষেপেই ঝুঁকি অনুভব করেছি, ঝড়ের মধ্যে খালের পাড় পার করার মতো। একটু ভুল পা ফেললেই পড়ে যেতে পারি।’
জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘নির্বাচনের তফসিলের পর দেখলাম আন্দোলন কমেছে এবং মানুষ নির্বাচনের দিকে ঝুঁকছে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সংসদে থাকার এবং সেখানে থেকে জনগণের আস্থা অর্জন করা। দলের ভবিষ্যৎ বিবেচনা করেই আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।’
ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার জাপার সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের বৈধতা বাড়ানোর চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, ‘আলোচনার ভিত্তি ছিল একটি সুষ্ঠু নির্বাচন; প্রশাসনকে অবশ্যই নিরপেক্ষ থাকতে হবে এবং পেশীশক্তির প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে হবে। তারা বিষয়টি মেনে নিয়েছে এবং কিছু প্রার্থী প্রত্যাহার করেছে।’
জীবনের হুমকি সত্ত্বেও ঢাকা থেকে সড়কপথে নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে কোনো প্রটোকল ছাড়াই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন জিএম কাদের।
তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকা থেকে নিজের গাড়িতে রাস্তায় এসেছি। মরতে হলেও মরব। তবুও দেহরক্ষী নিয়ে চলব না।’
Leave a Reply