সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আইসিআরসিপ্রধান মির্জানা স্পোলজারিক বলেন, আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নৈতিক ব্যর্থতার কথা বলছি। কারণ এটি দিনের পর দিন ধরে চলছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই চরম দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে সক্ষম হয়নি। এই সংঘাত ও তার জের কেবল গাজাতেই নয় বরং প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে প্রভাব ফেলতে থাকবে।
৭ অক্টোবর হামাসের বন্দী করে নেওয়া ইসরায়েলিদের মুক্তির কথা উল্লেখ করে স্পোলজারিক বলেন, নিজেদের মধ্যে বন্দী বিনিময়ের ব্যাপারটি অত্যন্ত জটিল ও সংবেদনশীল একটি কাজ। এখানে দুই পক্ষের চুক্তি ছাড়া কোনো কিছুই সম্ভব নয়। তাই আমরা এ বিষয়ে তাদের আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় হামলা চালাতে শুরু করে। কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় গত নভেম্বরের শেষে দুই পক্ষের মধ্যে এক সপ্তাহের জন্য একটি যুদ্ধবিরতি অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২৪০ ফিলিস্তিনি নারী ও কিশোরীর বিনিময়ে গাজায় ১১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১ ডিসেম্বর আবারও প্রচণ্ড লড়াই শুরু হয়।
যুদ্ধবিরতির সময় আইসিআরসি উভয় পক্ষের বন্দীদের পৌঁছে দিয়েছিল। তবে সে সময় আরও কিছু না করার জন্য অনেকে আইসিআরসির সমালোচনা করেন। তারা বলেন, আইসিআরসি কেবল সে সময় ট্যাক্সি পরিষেবার কাজ করেছে। এ প্রসঙ্গ স্পোলজারিক বলেন, সে সময় তারা যে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাকে কোনো ট্যাক্সি পরিষেবার সঙ্গে তুলনা করা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ও আপত্তিকর।
তিনি বলেন, আমাদের সহকর্মীরা এই কাজগুলো করার সময় তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন এবং তাদের প্রচেষ্টায় জিম্মিরা সুন্দরভাবে নিজ নিজ দেশে ফিরতে পেরেছেন।
এদিকে নিজেদের সেনাবাহিনীর হাতে ইসরায়েলের তিনজন জিম্মির মৃত্যুর পর প্রচণ্ড চাপের মুখে আবারও যুদ্ধবিরতির কথা বিবেচনা করছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ বিষয়ে ইসরায়েলের গোয়েন্দা প্রধান কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। স্পোলজারিক বলেন, পক্ষগুলো একটি চুক্তিতে পৌঁছালে আইসিআরসি আবারও সহায়তা করতে প্রস্তুত থাকবে।
Leave a Reply