বাণিজ্যিক জাহাজে হুতিদের আক্রমণের জবাবে লোহিত সাগর পাহারা দেয়ার জন্য ১০টি দেশকে নিয়ে একটি জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। এ দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, বাহরাইন, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সিসিলি, স্পেন এবং যুক্তরাজ্য। এতে একমাত্র আরব দেশ বাহরাইনকে রাখা হয়েছে। তবে মিশর ও জর্ডান যুক্ত হতে পারে বলে খবর দিচ্ছে আল জাজিরা। কারণ, ওই অঞ্চল দিয়ে জাহাজ চলাচল নিরাপদ করায় তাদেরও স্বার্থ নিহিত আছে। এ পর্যন্ত যে জোট ঘোষণা করা হয়েছে তাতে তাদের নাম নেই। তবে পরে তাদেরকে যুক্ত করা হতে পারে। ওদিকে কম্বাইন্ড মেরিটাইম ফোসের্স নামের একটি আমব্রেলা সংগঠনের অংশ মিশর, জর্ডান ও গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) কিছু দেশ- যেমন সৌদি আরব। ওদিকে সোমবার দিবাগত রাতভর গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে আরো ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আল জাজিরাকে মেডিকেল সূত্রগুলো বলেছে, আল-আহলি হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলিরা। আজ মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতির নতুন একটি প্রস্তাবের ওপর দিনের শেষের দিকে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে। ৭ই অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরাইলের হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৯ হাজার ৪৫৩ জন। ওদিকে ইসরাইলের দখলীকৃত পশ্চিমতীরে নিহত হয়েছে ইসরাইলি দুই রিজার্ভ সেনা। তারা হলো ডানিয়েল ইয়াকোভ বেন হ্যারোশ এবং রোটেম ইওসেফ। উভয়েই সোমবারের যুদ্ধে নিহত হয়েছে। এ নিয়ে গাজা যুদ্ধে ইসরাইলি নিহত সেনার সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩১। যুদ্ধ আহত হয়েছে অন্য দু’জন সেনা।
আল ফাওয়ার শরণার্থী ক্যাম্পে একটি বাড়ির ভিতর ঢুকে ভাঙচুরের অভিযোগ এসেছে ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে। এই শরণার্থী ক্যাম্পটি হেব্রনের দক্ষিণে। এসব অঞ্চলে প্রবেশ করে ফিলিস্তিনিদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি ধ্বংস করে দেয়ার অভিযোগ আছে ইসরাইলি সেনাদের বিরুদ্ধে। বছরের পর বছর ধরে তারা টার্গেট করা ব্যক্তিদের সম্পদ ধ্বংস করে যাচ্ছে। ৭ই অক্টোবরের পর এই ধারা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফিলিস্তিনের অন্য অংশগুলোতেও অভিযান চালিয়েছে ইসরাইলিরা। এর মধ্যে আছে কালকিলিয়ার কাফর কাদ্দুম এবং জেরিকো শহর।
আজ মঙ্গলবার ফ্রান্স ও ইতালি সফরে যাচ্ছে বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এ সময় গাজার পরিস্থিতি হবে মূল আলোচ্য বিষয়। সফরের আগে ক্যামেরনের অফিস থেকে বলা হয়েছে, আবারও টেকসই যুদ্ধবিরতি, টেকসই শান্তির আহ্বান জানাবেন তিনি। জীবন রক্ষাকারী ত্রাণের জন্য ইউরোপিয়ান মিত্রদের কাছে সমন্বয় জোরালো করার আহ্বান জানাবেন। এই সফরে তিনি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন এবং ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাথেরিন কলোনা, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনিও তেজানির সঙ্গে সাক্ষাত করবেন।
Leave a Reply