ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এক গুপ্তচরের ফাঁসি কার্যকর করেছে ইরান। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সিস্তান ও বালুচিস্তানে তাকে ফাঁসি দেয়া হয় বলে ইরান জানিয়েছে। তবে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
ইরানি বিচার বিভাগের সরকারি নিউজ আউটলেটে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, শনিবার সকালে ওই লোকের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
ওই লোক ‘জেনেবুঝে গোপন তথ্য সংগ্রহ করে তা ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিদেশী গোয়েন্দাদের কাছে পাচার করত বলে এতে অভিযোগ করা হয়।
এতে আরো বলা হয়, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ওই লোকের বিচারের পর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
নিজেদের ৩ জনকে হত্যা করেছে ইসরাইল
ইসরাইল বলেছে, নিজেদের ভূলে গাজায় হামাসের হাতে আট তিনজনকে হত্যা করেছে সেনা বাহিনী। এসব আটক ব্যক্তিদের হুমকি মনে করায় তারা এই হামলা চালায়। সশস্ত্র বাহিনী এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে।
এদিকে এসব ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় তেল আবিবে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানায়, গাজা নগরীর পার্শ্ববর্তী একটি এলাকায় অভিযান চলাকালে তাদের সৈন্যদের গুলিতে ইয়োতাম হাইম, অ্যালোন শামরিজ এবং সামের এল-তালালকা নিহত হয়।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তিন ব্যক্তির মৃত্যুকে ‘একটি ‘করুণ ট্রাজেডি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এদিকে হোয়াইট হাউস ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক ভুল’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তিন পণবন্দীর নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে তেল আবিব শহরে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শত শত মানুষ জড়ো হয় এবং তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
বিক্ষোভকারীরা ইসরাইলি পতাকা হাতে নিয়ে গাজায় এখনো পণবন্দী ১২৯ জনের মুক্তির দাবি জানায়।
তেল আবিবে পণবন্দীদের আত্মীয়রা আরো বেশি লোককে মুক্তি দেয়ার জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
গত নভেম্বরে কাতার, মিসর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি স্বল্প মেয়াদি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ইসরাইলি কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে শতাধিক পণবন্দীকে মুক্তি দেয়া হয়।
ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের মতে, ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলায় প্রায় ১২ শ’ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। হামাস সদস্যরা প্রায় ২৪০ জনকে বন্দী করে এবং গাজায় নিয়ে যায়। এসব বন্দীর মধ্যে তারা নিহত তিনজনও ছিল।
হামাসের এমন হামলার জবাবে ইসরাইলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় ব্যাপক হামলা শুরু করে।
সেখানে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গাজা উপত্যকায় এ পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় ১৯ হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছে। এদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া ইসরাইলি হামলায় গাজার কিছু অংশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা ও এএফপি
Leave a Reply