জাতিসঙ্ঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলছে, গাজার ৩৬ শতাংশ পরিবার এখন ‘তীব্র ক্ষুধা’ ভোগ করছে।
রোববার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ‘গাজা উপত্যকায় যাওয়ার কোনো নিরাপদ জায়গা নেই’, চারিদিকে ক্ষুধার্থ মানুষের হাহাকার।
এদিকে জাতিসঙ্ঘ জানিয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ গাজার হাসপাতাল হামলার শিকার হয়েছে।
জাতিসঙ্ঘ জানিয়েছে, উত্তর গাজার জাবালিয়ায় আল-আওদা হাসপাতাল শনিবার তৃতীয় দিনের জন্য ইসরাইলি সেনা ও ট্যাঙ্ক দ্বারা বেষ্টিত ছিল। সেখানে দুই স্বাস্থ্যকর্মীকে হাসপাতালে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
জাতিসঙ্ঘ আরো জানিয়েছে, শনিবার ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতালের কাছে একটি অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিসংযোগ করে, এতে দুই প্যারামেডিক আহত হয়।
এদিকে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি।
গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করেছে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, শনিবার সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করেছে।
সূত্র : আল-জাজিরা
Leave a Reply