ঠান্ডার দিনে একটু গরম খাবার খেতে কার না ভালো লাগে? আর খাবারের তালিকায় যদি থাকে গরম গরম স্যুপ তাহলে তো কথাই নেই। স্যুপের মধ্যে সবসময় যে মাংস কিংবা ডিম দিতেই হবে তা নয়। বরং শীতের টাটকা শাকসবজি দিয়েও অনেক ধরনের সুস্বাদু স্যুপ তৈরি করা যায়। আর এইসব স্যুপের স্বাস্থ্যগুণও প্রচুর। এইসব ভেজিটেবল স্যুপ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অর্থাৎ ইমিউনিটি সিস্টেম সুদৃঢ় করে। এর পাশাপাশি মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজের যোগান দেয়। এছাড়াও দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক মাত্রায় বজায় রাখতেও সাহায্য করে। এছাড়াও রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ। শীতের আবহাওয়ায় সর্দি-কাশি হলে অর্থাৎ ঠান্ডা লেগে থাকলে কিংবা গলা ব্যথা হলে তখন খাবারে অরুচি হয়, প্রায় কিছুই খেতে ইচ্ছে করে না। এই সমস্যার সমাধানও করতে পারে গরম গরম ভেজিটেবল স্যুপ।
শীতে খেতে পারেন যেসব ভেজিটেবল স্যুপ
ব্রকোলি ক্রিম স্যুপ: সবুজ রঙের ফুলকপির মতো দেখতে ব্রকোলির পুষ্টিগুণের কথা সবারই জানা। ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসে ভরপুর ব্রকোলি শরীরের প্রদাহজনিত সমস্যা কমায়। এছাড়াও অন্ত্রের সমস্যা দূর করে। অর্থাৎ অ্যাসিডিটি, বদহজম ইত্যাদির প্রবণতা কমে। মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে ব্রকোলি দিয়ে তৈরি এই স্যুপ।
বিটরুট স্যুপ : শীতের দিনের পরিচিত সবজি হল বিট। এই সবজি দিয়েও তৈরি করা যায় স্যুপ। বিটের মধ্যে রয়েছে নাইট্রিক অক্সাইড যা আমাদের শরীরের রক্তের সঞ্চালন সঠিকভাবে বজায় রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও বিটের মধ্যে রয়েছে আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি। এই সব উপকরণ মানবশরীরের জন্য প্রয়োজনীয়।
টমেটো স্যুপ : স্যুপের তালিকায় সবচেয়ে জনপ্রিয় টমেটো স্যুপ। এটা তৈরি করাও সহজ। টমেটোর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। এসব উপাদান চোখ এবং ত্বকের খেয়াল রাখে।
পালং শাকের স্যুপ : আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে- উপকরণে ভরপুর পালং শাক দিয়েও তৈরি করা যায় স্যুপ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং হাড়ের গঠন মজবুত করতে কাজে লাগে পালং শাকের মধ্যে থাকা এই সব উপকরণ।
Leave a Reply