হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ টেলিগ্রামের একটি পোস্টে বলেছেন, আমরা গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি চুক্তির কাছাকাছি রয়েছি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ অক্টোবর হামাসের কাছে আটক হওয়া ২৪০ ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তি দেয়া এবং ইসরাইলি হামলায় ১৩ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে।
একইসাথে ইসরাইলি কারাগারে বন্দী নারী ও শিশুসহ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়ার বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
কাতারের মধ্যস্থতায় এ আলোচনা চলছে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী রোববার বলেছেন যে- অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে কিছু বন্দীকে মুক্ত করার চুক্তির কাছাকাছি রয়েছে তারা।
এর আগে সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন যে- তিনি বিশ্বাস করেন বন্দীদের মুক্ত করার একটি চুক্তি কাছাকাছি রয়েছে তারা।
বাইডেনকে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে- একটি বন্দী চুক্তি কাছাকাছি ছিল কি না। উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি তাই বিশ্বাস করি’
এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলার কমপক্ষে ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৮ হাজারের বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজারেরও বেশি।
গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
সূত্র : আল-জাজিরা
Leave a Reply