ইসরাইলের একটি জাহাজ জব্দ করেছে ইয়েমেনের হাউসি বিদ্রোহীরা। এ ঘটনায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাৎক্ষণিকভাবে ইরানকে দায়ী করেছেন।
সোমবার সংবাদমাধ্যম দ্যা জেরুসালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান সমর্থিত গোষ্ঠী হাউসি বিদ্রোহীরা দক্ষিণ লোহিত সাগরে একটি ব্রিটিশ মালিকানাধীন এবং জাপানি-চালিত কার্গো জাহাজ জব্দ করেছে। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয় যে- তেহরান ইসরাইল এবং মুক্ত বিশ্বের বিরুদ্ধে তার আগ্রাসন বাড়িয়েছে।
নেতানিয়াহু আরো বলেন, আমরা একটি আন্তর্জাতিক জাহাজে ইরানের হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এটি ইরানি সন্ত্রাসবাদের আরেকটি কাজ যা মুক্ত বিশ্বের নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইরানের আগ্রাসন প্রকাশ করে।
তিনি বলেন, জাহাজটিতে কোনো ইসরাইলি ছিলেন না, সেখানে ইউক্রেনীয়, বুলগেরিয়ান, ফিলিপিনো ও মেক্সিকানসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় ২৫ জন ক্রু ছিলেন।
এই আক্রমণটি এমন এক সময় হলো যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পাশ্চাত্য শক্তিগুলো ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাত বন্ধের জন্য কাজ করছে।
এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলার কমপক্ষে ১২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৮ হাজারের বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজারেরও বেশি।
গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
সূত্র : দ্যা জেরুসালেম পোস্ট
Leave a Reply