পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতি ও ‘৫০ বা তার বেশি’ শিশু ও নারী বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে একমতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও হামাস।
শনিবার কাতারের মধ্যস্থতায় তারা এ মতে পৌঁছেছে।
রোববার ইসরাইলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্যা জেরুসালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে চুক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ছয় পৃষ্টার ওই চুক্তির মধ্যে রয়েছে, সব পক্ষ কমপক্ষে পাঁচ দিনের জন্য যুদ্ধ অভিযান স্থগিত করবে যেখানে ‘প্রাথমিক ৫০ বা তার বেশি বন্দীকে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ছোট ছোট দলে ছেড়ে দেয়া হবে।
সংবাদপত্রটি বলেছে যে- উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মানবিক সহায়তার অনুমতি দেয়ার উদ্দেশে স্থল গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করবে পুলিশ।
এ প্রতিবেদনের বিষয়ে হোয়াইট হাউস বা ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
চুক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের থেকে আরো জানা গেছে, বন্দী মুক্তি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শুরু হতে পারে।
এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলার কমপক্ষে ১২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৮ হাজারের বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজারেরও বেশি।
গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
সূত্র : দ্যা জেরুসালেম পোস্ট
Leave a Reply