প্রেমিকাকে ধর্ষণ ও হত্যায় দণ্ডপ্রাপ্ত এক ব্যক্তিকে ক্ষমা করে ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্ষমা পাওয়া ওই ব্যক্তির নাম ভ্লাদিস্লাভ কানিউস। প্রেমিকা ভেরা পেখতেলেভাকে হত্যার দায়ে তার ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। কিন্তু তিনি মাত্র এক বছরেরও কম সময় কারাগারে কাটিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কানিউস তার প্রেমিকাকে ১১১ বার ছুরিকাঘাত করেছিল এবং তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কারণে তাকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছিল। তারপর সে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
ভেরা পেখতেলেভার মা ওকসানা যখন সামরিক ইউনিফর্মে অস্ত্রধারী কানিউসের ছবি খুঁজে পান এরপর এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
শোকার্ত মা বিলাপ করে বলেছিলেন, মনে হচ্ছে আমি শেষ হয়ে গিয়েছি। এ ঘটনা আমাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের দেশে আইনের শাসন যে নেই, তা জানতে পেরে আমি যেন খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছি। আমি জানি না এর পরে আমি আর কী করব!
রাশিয়ায় নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সমাজকর্মী অ্যালিওনা পপোভা বলেন, কানিউসকে যে ইউক্রেন সীমান্ত সংলগ্ন দক্ষিণ রাশিয়ার রসটভে পাঠানো হয়েছিল, তা জেল কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নিয়েছে।
পপোভা গত ৩ নভেম্বর রাশিয়ান প্রসিকিউটর জেনারেলের অফিস থেকে একটি চিঠি শেয়ার করেছেন, সেখানে বলা হয়েছে যে কানিউসকে ক্ষমা করা হয়েছে এবং ২৭ এপ্রিল প্রেসিডেন্টের ডিক্রির মাধ্যমে তার সাজা বাতিল করা হয়েছে।
যদিও নিজেদের সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়েছে রাশিয়ার সরকার। ক্রেমলিনের এক মুখপাত্র বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানো রাশিয়ান বন্দীরা তাদের অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করছেন ‘রক্ত দিয়ে’।
সূত্র -দ্যা সান
Leave a Reply