লেবাননের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদীয় স্পিকারের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র দূত আমোস হোচেনস্টেইন মঙ্গলবার বৈরুতে একটি অঘোষিত সফর করেছেন। দেশটির দক্ষিণ সীমান্তে ইসরাইল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে লড়াই তীব্রতর হচ্ছে।
বৈঠকে হোচেনস্টেইন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজায় সংঘাত বাড়াতে এবং তা লেবাননে বিস্তৃত হতে দিতে চায় না। সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন না নিয়েই তিনি চলে যান।
কয়েক দিন আগে ইসরাইলের ড্রোন হামলায় লেবাননে এক দাদি এবং তার তিন নাতনি নিহত হয় যা ক্ষোভের সৃষ্টি করে। প্রতিশোধ হিসেবে হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরাইলের কিরিয়াত শমোনা গ্রামে রকেট ছোঁড়ে। এতে একজন নিহত হয়।
হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনী বা আইডিএফ-এর মধ্যে এই রক্তক্ষয়ী গুলি বিনিময় অনেকের নজর কেড়েছে। বিশ্লেষকরা বিতর্ক করছেন যে- ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ প্রসারিত হতে পারে কি না বা এই অঞ্চলে নতুন ফ্রন্ট খুলতে পারে কি না।
মঙ্গলবার তিনি বলেন, ইসরাইল-লেবানন সীমান্তে অস্থিরতা দমন করা ‘সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ’।
নিহত দাদি এবং তার তিন নাতনির জানাজায় বিশাল জনতার সামনে হিজবুল্লাহ আইনপ্রণেতা আলী ফায়াদ বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা শত্রুর সাথে লড়াইয়ের নিয়মের একটি প্রধান স্তম্ভ।
আইডিএফ ইরানের অর্থায়নকৃত গোষ্ঠীকে একটি হুমকি বলে মনে করে। হিজবুল্লাহর কাছে ইসরাইলে নিক্ষেপ করার জন্য প্রায় দেড় লাখ ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট সেইসাথে এন্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্র এবং মারাত্মক ড্রোনসহ বিভিন্ন উচ্চ প্রযুক্তি প্রস্তুত রয়েছে।
এএফপি’র তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর থেকে আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষে লেবাননে কমপক্ষে ৮৩ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। এদের মধ্যে একজন সাংবাদিকসহ ১১ জন বেসামরিক মানুষ রয়েছে। ইসরাইলে ছয়জন সেনা এবং দুজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
Leave a Reply