মধ্য গাজার আল শিফা হাসপাতাল থেকে রাফাহ ক্রসিংয়ে যেতে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সের বহর ইসরাইলি বিমান হামলার শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় জাতিসঙ্ঘ প্রধান ‘আতঙ্ক’ প্রকাশ করেছেন।
শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই হামলায় অন্তত ১৩ জন মারা গেছেন।
জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও ম্যানুয়েল দে অলিভেরা গুতেরেস গাজায় অ্যাম্বুলেন্সের বহরে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় ‘আতঙ্কিত’ হয়ে এক বিবৃতিতে বলেছেন, সংঘাত ‘বন্ধ করতেই হবে।’
গুতেরেস বিবৃতিতে বলেন, গাজায় আল শিফা হাসপাতালের বাইরে একটি অ্যাম্বুলেন্স বহরে হামলার দৃশ্য দেখে আমি ‘আতঙ্কিত’। হাসপাতালের বাইরের রাস্তায় তাদের লাশগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকার দৃশ্য খুবই হতাশাজনক।
এর আগে গাজায় ইসরাইলি হামলা চলমান থাকায় সেখানে আর কোনো জায়গাই নিরাপদ নেই বলে মন্তব্য করেন জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার পরিচালক টমাস হোয়াইট।
তিনি বলেন, সেখানকার বাসিন্দাদের বাঁচাতে জাতিসঙ্ঘের প্রায় কোনো কিছুই করার নেই।
গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় এরই মধ্যে ৯ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে বলে জানিয়েছে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাদের হিসেব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ২২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, ৭ অক্টোবর সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
সূত্র : আল-জাজিরা ও এএফপি
Leave a Reply