ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনের প্রতিবাদে প্রথমবারের মতো সরাসরি পদক্ষেপ নিয়েছে জর্ডান। বুধবার (১ নভেম্বর) তেল আবিব থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে দেশটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি। খবর আনাদোলু।
জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তারা গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে প্রত্যাখ্যান করে এর নিন্দা জানিয়েছে। আম্মানের এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। তেল আবিব গাজায় সহিংসতা বন্ধ করার পরই ফের জর্ডান সেখানে রাষ্ট্রদূত পাঠাবে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে দুই সপ্তাহ আগে জর্ডান ত্যাগ করা ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে এই মুহূর্তে আর আম্মানে ফিরতে দেওয়া হবে না। ১৯৯৪ সালে ইসরায়েল ও জর্ডানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল।
গাজায় চলমান ইসরায়েলি সহিংসতা সম্পর্কে আয়মান সাফাদি বলেন, এই আগ্রাসন গাজার নিরপরাধ বেসামরিক মানুষকে হত্যা করছে। এ হামলার ফলে সেখানে অভূতপূর্ব মানবিক বিপর্যয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং পুরো অঞ্চলে এ সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি করেছে। পুরো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তা এখন হুমকির মুখে পড়ে গেছে।
গত শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ২২টি আরব দেশের পক্ষে এ প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল জর্ডান। প্রস্তাবটি ১২০-১৪ ভোটে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে পাস হয়।
তবে নিরাপত্তা পরিষদে এই সংঘাত বন্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। মূলত রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা ও পাল্টাপাল্টি ভেটোর কারণে এখন পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদে এ বিষয়ক কোনো প্রস্তাব পাস করা যায়নি।
এদিকে গাজায় অব্যাহত হামলা চালানোর প্রতিবাদে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়া। দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রেডি মামানি গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বলিভিয়া গাজা উপত্যকায় সংঘটিত আক্রমণাত্মক ও অগ্রহণযোগ্য ইসরায়েলি সামরিক আক্রমণের তীব্র নিন্দা করছে এবং ইসরায়েলি রাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Leave a Reply