হামাস সন্ত্রাসী দল নয়, তারা মুক্তিকামী সংগঠন বলে সময়ের সবচেয়ে জোরালো মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। বরং তারা একটি স্বাধীনতাকামী দল, যারা ফিলিস্তিনি ভূখন্ড এবং তার জনগণের সুরক্ষার জন্য লড়াই করছে।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) আঙ্কারায় তুর্কি গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে যোগ দেয়ার আগে তিনি গাজা সঙ্ঘাতের বিষয়ে এ বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি অবিলম্বে ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান।
এরদোগান বলেন, এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করার জন্য মুসলিম দেশগুলোকে একসাথে কাজ করতে হবে।
গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরাইলের নির্বিচার হামলা ও হত্যাযজ্ঞের নিন্দাও জানিয়েছেন তিনি। এ সময় তার আসন্ন ইসরাইল সফরের পরিকল্পনা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন এরদোয়ান।
আঙ্কারায় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এরদোগান বলেন, ‘ইসরাইল হামাসকে পশ্চিমাদের সাথে তাল মিলিয়ে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। পশ্চিমারা ইসরাইলের কাছে অনেক ঋণী। কিন্তু তুরস্ক ইসরাইলের কাছে কোনো কিছুর জন্যই ঋণী নয়।’
এদিকে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের বিষয়ে আলোচনা করতে বর্তমানে কাতার সফরে রয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। সেখানে তিনি গাজায় ইসরাইলের চলমান হামলাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল-থানির সাথে এক সংবাদ সম্মেলনে হাকান ফিদান বলেন, ‘শিশু, রোগী ও বয়স্ক মানুষসহ আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের ওপর তারা যে হামলা চালিয়েছে, এটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। তাদের দৌরাত্ম্য থেকে স্কুল, হাসপাতাল ও মসজিদ পর্যন্ত নিস্তার পায়নি।’
সূত্র : দ্য জেরুসালেম পোস্ট, আলজাজিরা ও অন্যান্য
Leave a Reply