কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা ইসরাইলের প্রতি আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুসরণ এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
রোববার ইসরাইলের ওপর তাদের সমর্থনের উপর জোর দিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে এ আহ্বান জানান।
যৌথ বিবৃতিতে নেতারা বলেছেন যে- তারা মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে একটি ‘রাজনৈতিক সমাধান এবং টেকসই শান্তি’ দেখতে চান। তারা কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই অঞ্চলের ‘সংঘাত ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে’ চান।
এই ছয়টি দেশও দুই বন্দির মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে এবং বাকি সব বন্দিকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের ডাকা এক টেলিফোন কলের পর বিবৃতি জারি করা হয়।
টেলিফোন কলে অংশগ্রহণকারীরা নেতারা হলেন- কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ সোলজ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
এর আগে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই, ইসরাইল ও হামাস যুদ্ধের পরিধি অন্যত্র ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে হবে এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
শনিবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ নিয়ে বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
মেলোনি বলেন, যদিও আমাদের অবস্থানে অনেক দূরত্ব রয়েছে। আমাদের স্বার্থগুলো ঠিকভাবে কাজ করতে হবে। গাজায় যা হচ্ছে সেটি যেন আরো বিস্তৃত দ্বন্দ্বে, একটি ধর্মীয় যুদ্ধে এবং সভ্যতার যুদ্ধে পরিণত না হয়।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪ হাজার অতিক্রম করেছে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
সূত্র : আল-জাজিরা
Leave a Reply