গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস একটি ইসরাইলি স্থল অভিযান রুখে দেয়ার দাবি করেছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীও স্বীকার করেছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর একটি অভিযানকালে হামাসের নিক্ষেপ করা ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তাদের এক সৈন্য নিহত এবং আরো তিনজন আহত হয়েছে।
হামাসের কাসসাম ব্রিগেডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা হামলা প্রতিহত করে ইসরাইলি বাহিনীকে ইসরাইলের ভেতরে ফিরে যেতে বাধ্য করেছে।
অন্যদিকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এক ইসরালি সৈন্য নিহত হয়েছে। আর তিনজন আহত হয়েছে। এদের একজন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। অপর দুজনের আঘাত সামান্য।
ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, গাজার খান ইউনিস এলাকায় হামাস বন্দীদের অবস্থান শনাক্ত এবং ‘সন্ত্রাসী অবকাঠানো’ ধ্বংস করার জন্য এই হামলা চালানো হয়েছিল।
টাইমস অব ইসরাইলের খবরে বলা হয়েছে, নিখোঁজ ইসরাইলিদের লাশের সন্ধানে সামরিক বাহিনীর অনুসন্ধানের অংশ ছিল এই অভিযান। একইসাথে তারা আসন্ন স্থল অভিযানের জন্য এলাকাটি পরিষ্কার করতে গিয়েছিল।
এতে আরো বলা হয় যে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, একটি ট্যাংকবিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র একটি ইসরাইলি ট্যাংক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং যানে আঘাত হানে। সৈন্যরা সন্ত্রাসী এলাকায় গোলা নিক্ষেপ করে জবাব দেয়। হামাস এই হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
নিহত সৈন্যের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
আল জাজিরার তারেক আবু আজজুম গাজার খান ইউনিস থেকে জানান, ইসরাইল কয়েক দিন ধরে যে স্থল হামলার কথা বলে আসছিল, এটি ছিল তারই অংশবিশেষ।
তিনি বলেন, গাজায় প্রবেশের এসব চেষ্টা ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা প্রতিহত করছে। তারা সম্ভব যেকোনো উপায়ে ইসরাইলিদের প্রতিহত করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, সেখানকার পরিস্থিতি ‘সত্যিই নাটকীয়।’ তিনি আরো বলেন, গাজার ভেতরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খুবই ‘অনিশ্চয়তাপূর্ণ।’
আল জাজিরার মোহাম্মদ জামজুম অধিকৃত পূর্ব জেরুসালেম থেকে বলেন, যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় ইসরাইলি সৈন্য নিহত হওয়াটাকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী ‘খুবই কঠোরভাবে’ নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভেতরে হামাস অপ্রত্যাশিত অভিযান চালালে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। এর পর থেকেই গাজার অভ্যন্তরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। তারা কয়েক দিন ধরেই স্থল হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে আসছে।
সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল
Leave a Reply