গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস দুই আমেরিকান বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে কাতার ‘দূতের ভূমিকা’ পালন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ওমর দাজানি বলেছেন, দুই আমেরিকান বন্দীকে মুক্তি দেয়ার ক্ষেত্রে কাতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এটি হামাসকে পাশ্চাত্য সরকারগুলোর সাথে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে বলেও মনে করেন তিনি।
দাজানি বলেন, অবরোধের বছরগুলোতে কাতার সরকার গাজার জনগণকে সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে কিছু হামাস নেতাদের সাথে কাতারের একটি সখ্যতা গড়ে ওঠে। যার ফলে হামাস নেতারা তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে অস্বীকার করলেও সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
দাজানি আরো বলেন, এসব কারণেই কাতার সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হামাসের সাথে একটি মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা পালন করেছে এবং মনে হচ্ছে এটি আবারো করছে।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
সূত্র : আল-জাজিরা
Leave a Reply