ভ্রাতৃপ্রতীম ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের তুলনায় যোদ্ধার সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি। অস্ত্রসম্ভারেও অনেক এগিয়ে লেবাননের শিয়া গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। নানা ক্যালিবার এবং পাল্লার রকেটের পাশাপাশি ইরানের মদতপুষ্ট এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর হাতে রয়েছে ‘গাইডেড’ ক্ষেপণাস্ত্রও! গত কয়েক দিনের সঙ্ঘাতের ফল বলছে, উত্তর সীমান্তে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হলে গাজার মতো নিরঙ্কুশ আধিপত্য দেখানো কঠিন হবে ইসরাইলের।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং তার উত্তরসূরি রাশিয়ার তৈরি একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং রকেট রয়েছে হিজবুল্লাহর অস্ত্রাগারে। রয়েছে, চীনা ‘ভূমি থেকে ভূমি’ এবং ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রও। এর পাশাপাশি ইরানে তৈরি ‘ভূমি থেকে ভূমি’ এবং বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো এই গোষ্ঠীর হাতে। পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইরানের সামরিক প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো কাজে লাগিয়ে বেশ কয়েকটি পুরনো রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আধুনিকীকরণের কাজও সেরে ফেলেছে হিজবুল্লাহ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত রুশ রকেট কাতুসা এবং তার পরবর্তী সংস্করণ বিএম-২১ গ্রাদ হিজবুল্লাহর অন্যতম শক্তি। সামরিক ট্রাকে বহনযোগ্য ১০৭ এবং ১২২ মিলিমিটারের এই ‘মাল্টি ব্যারেল রকেট’-এর বেশ কয়েকটি সংস্করণ রয়েছে হাসান নাসারুল্লার বাহিনীর হাতে। ১১ থেকে ৫২ কিলোমিটার পাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রের কয়েকটি ইতিমধ্যেই ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করেছে তারা। সোভিয়েত জমানার ৩৫ কিলোমিটার পাল্লার বিএম-২১ উরগান এমনকি, ৫০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরকবাহী ৭০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘স্কাড’ রয়েছে হিজবুল্লাহর কাছে।
ষাটের দশকে তৈরি চীনা ‘টাইপ ৬৩’ মাল্টি ব্যারেল রকেটের পাশাপাশি হিজবুল্লাহর কাছে রয়েছে ইরানের সহযোগিতায় তৈরি উন্নততর সংস্করণ ফজর-১। ন’কিলোমিটার পাল্লার এই রকেট ইতিমধ্যেই ইসরাইল ভূখণ্ডে আছড়ে পড়েছে বেশ কয়েকবার। এই পাশাপাশি ইরানে তৈরি ‘ফলঘ’, ‘খাইবার’, ‘শাহিন’, ‘নজেয়ত’-এর মতো বিভিন্ন পাল্লার রকেট এবং ২০০ কিলোমিটার পাল্লার ‘ফতে-১১০’ গাইডেড ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে হিজবুল্লাহর। ফলে লড়াই কঠিন হতে পারে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সেনাবাহিনীর।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
Leave a Reply