যুদ্ধেরও এক ধরনের নৈতিকতা রয়েছে। এ ধ্বংসযজ্ঞ যুদ্ধের নৈতিকতাবিরোধী। ফিলিস্তিনের গাজায় কয়েক দিন ধরে চলমান অবরোধ এবং বিরামহীন ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
বুধবার পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন একে পার্টির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় এরদোগান ইসরাইলের প্রতি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, প্রতিটি যুদ্ধের নীতিনৈতিকতা আছে। সপ্তাহজুড়ে গাজায় যা চলছে তাতে নৈতিকতার মারাত্মক লঙ্ঘন হচ্ছে।
অবরুদ্ধ গাজায় বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া এবং বেসামরিক স্থাপনা ধ্বংসের প্রসঙ্গ টেনে এরদোগান বলেন, ‘মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে বাধা দেওয়া ও বেসামরিক মানুষজনের ঘরবাড়িতে বোমা হামলা করা যুদ্ধের লজ্জাজনক কৌশল। এটা যুদ্ধ নয়, এটি একটি ধ্বংসযজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: আটক ইসরাইলিদের মুক্ত করতে হামাসের সঙ্গে আলোচনা শুরু এরদোগানের
এরদোগান আরও বলেন, ইসরাইলের ভূখণ্ডে বেসামরিক মানুষজনকে হত্যা করায় প্রকাশ্যে সমালোচনা করি আমরা। সেই সঙ্গে গাজার নিরীহ মানুষজনের ওপর চালানো ধ্বংসযজ্ঞ ও বিরামহীন বোমাবর্ষণের মাধ্যমে হত্যার ঘটনাকেও সমর্থন করা যায় না।
ইসরাইলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের সংগঠন হামাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত গত শনিবার। ইসরাইলের ভূখণ্ডে ওই দিন নজিরবিহীন রকেট হামলা চালায় হামাস। মাত্র ২০ মিনিটে ৫ হাজারের মতো রকেট ছুড়ে নিজেদের শক্তির জানান দেয় সংগঠনটি। ভেদ করে ইসরাইলের নিশ্ছিদ্র সুরক্ষাবলয়।
শুধু তাই নয়, সীমান্ত পেরিয়ে ইসরাইলে ঢুকে পড়েন হামাসের যোদ্ধারা। শুরুতে হতবাক হলেও দ্রুত পালটা জবাব দেয় ইসরাইল। পালটা আক্রমণ করে গাজা উপত্যকায়। এর পর থেকে ফিলিস্তিনে মুহুর্মুহু বোমা পড়ছে। ইসরাইলি বিমান হামলায় গাজায় অসংখ্য ভবন ধসে পড়েছে। দেখা দিয়েছে খাবারের চরম সংকট। অনেক জায়গায় নেই বিদ্যুৎ। সুপেয় পানির সংকটে ভুগছেন গাজাবাসী।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গাজায় দুই শতাধিক জায়গায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য, ইসরাইলি হামলায় মৃতের সংখ্যা এক হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরাইলের মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ২০০।
Leave a Reply