1. tasermahmud@gmail.com : admi2017 :
  2. akazadjm@gmail.com : Taser Khan : Taser Khan
শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন

গাজায় ইসরাইলের বোমাবৃষ্টি, দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান ফিলিস্তিনিদের

ইউএস বাংলাদেশ ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৩
ছবি : রয়টার্স

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা গাজা উপত্যকায় ইসরাইল বৃষ্টির মতো বোমা ফেলছে। দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সেখানে অবরুদ্ধ লোকজন।

ইসরাইলের আক্রমণের ভয়াবহতা তুলে ধরে গাজা থেকে মারাম হুমাইদ কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরায় লিখেছেন :

গাজায় অব্যাহত বোমা হামলায় তৃতীয় দিন সোমবার রাতে আমরা আমাদের বাবা-মায়ের বাড়িতে গভীর রাত পর্যন্ত জেগেছিলাম। আমি, আমার ছোট্ট ছেলে, ভাই-বোন, ভাতিজা-ভাতিজারা এবং আমার মা-বাবা অন্ধকার ঘরে একত্রিত হয়ে ছিলাম। আর শুনতেছিলাম আমাদের শহরে অব্যাহতভাবে বোমা মারা হচ্ছে। মারা যাচ্ছিল আমাদের মানুষজন।

একসময় ক্লান্ত হয়ে বিছানায় গেলেও, কোনো নিরবতা ছিল না।

আমরা আমাদের বড় বাচ্চাদের এটা বোঝাতে চাইছিলাম যে, এগুলো আতশবাজি। কিন্তু ওরা তা বিশ্বাস করেনি।

এক ঘণ্টারও কম ঘুমাতে পেরেছিলাম। এরই মধ্যে ভয়ঙ্কর শব্দে ঘুম ভেঙে যায়।

আমি আমার বাচ্চাকে মুহূর্তে কোলে তুলে নিলাম। আমরা সবাই মিলে দৌড়াতে থাকলাম।

মুহূর্তেই আকাশ ময়লায় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়, গানপাউডার দ্বারা। পরিস্থিতি খুবই জটিল হয়ে যায়।

আমরা শুনতে পেলাম আমাদের প্রতিবেশীরা চিৎকার করছে আর কাঁদছে। তবে আমরা বুঝতে পারিনি তারা কী বলছে।

আমরা কিছু দেখতেও পাচ্ছিলাম না। ধ্বংসাবশেষের ময়লা-আবর্জনায় আমাদের চোখ ভরে যায়। পরিস্থিতি আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনেক বেশি ভয়াবহ ছিল।

রাস্তায় বের হয়ে আমরা দৌড়াতে থাকা আমাদের প্রতিবেশীদের অনুসরণ করছিলাম। এরই মাঝে আমার মা-বাবার বাড়ির একটি বাড়ি পরের চারতলা বাড়িতে আক্রমণ চালানো হলো।

এরকম অনেক পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা। বোমার শব্দ চলতে থাকল সারা রাত জুড়ে। যেন বোমার বৃষ্টি।

এদিকে, গাজা থেকে মোহাম্মদ আর মহাইশ জানিয়েছেন, গাজার জনগণ চান বিশ্ব স্বীকৃতি দিক যে তাদের সংগ্রাম রাজনীতি বা পক্ষ নিয়ে নয়; এটা তাদের জীবন বাঁচানোর বিষয়ে।

তারা বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হয়, যাতে মৃত্যু ও সন্ত্রাস থেকে পালিয়ে আসা লোকেরা তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা পায়, তা নিশ্চিত করতে। নিষ্পাপ জীবনগুলো ভারসাম্যের মধ্যে ঝুলছে, এবং সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে।

ইসরায়েলি বোমা হামলার কারণে মিসরের রাফাহ ক্রসিং বন্ধ
গাজার অবরুদ্ধ অঞ্চল থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ মিসরের রাফাহ সীমানা। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই এলাকায় ইসরাইলি বিমান চালানোয় মিসর ওই সীমানা বন্ধ করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, রাফাহ সীমানা খোলা থাকলেও সেটি পার হওয়ার হওয়ার জন্য গাজাবাসীকে তাদের নাম তালিকাভুক্ত করতে হয়।

সাম্প্রতিক হামলার কারণে দীর্ঘ অপেক্ষার তালিকা আটকা পড়েছেন এই মানুষেরা।

আজ মঙ্গলবার সকালেও এই সীমানা খোলা ছিল- তবে ওই সীমানা দিয়ে শুধু তারাই পার হতে পেরেছে যাদের নাম সাম্প্রতিক সংঘাত শুরুর আগেই তালিকাভুক্ত ছিল।

গাজা থেকে মিসরে প্রবেশ করতে হলে অন্তত দুই দিন আগে তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে গিয়ে একটি তালিকায় নাম লিপিবদ্ধ করতে হয়।

তাই অনুমোদন নেই এমন কেউ এই সীমানা পার করতে পারছেন না, পারাপারের বিষয়ে ফেসবুক পেজে আজ বেশ কয়েকটি পোস্টে এসব তথ্য স্পষ্ট করে বলা হয়েছে।

যেহেতু গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সব সরকারি ভবন বর্তমানে বন্ধ বা ধ্বংস হয়ে গেছে, তাই বর্তমানে নতুন করে কাউকে তালিকায় যুক্ত করা যাচ্ছে না।

সূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019-2023 usbangladesh24.com