গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সাথে ইসরাইলের লড়াই চলছে। এই প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দেশ তাদের অবস্থান প্রকাশ করছে। রাশিয়া অবিলম্বে এই যুদ্ধ বন্ধ করে অর্থপূর্ণ সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভায় এক বার্তায় জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত রুশ দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, ‘অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং অর্থপূর্ণ আলোচনা করতে হবে।’
তিনি বলেন, এই যুদ্ধের ‘আংশিক কারণ হলো অমীমাংসিত ইস্যুগুলো।’
গত শনিবার এই যুদ্ধ শুরু হয়। ইতোমধ্যেই উভয় পক্ষের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এই যুদ্ধের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লানকেন বলেন, সৌদি-ইসরাইল সম্পর্ক স্বাভাবিকিকরণের প্রক্রিয়া দেখে হামাস এ যুদ্ধ শুরু করতে পারে। তাদের এ আক্রমণ সৌদি-ইসরাইল সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে।
রোববার (৮ অক্টোবর) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের উদ্ধৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারের গণমাধ্যম আলজাজিরা।
সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ব্লিঙ্কেন বলেন, ইসরাইল-ফিলিস্তিনের চলমান যুদ্ধে কয়েকজন মার্কিন নাগরিক নিহত হয়েছে। আমরা এ সংবাদ নোট করেছি। ওয়াশিংটন এখন তাদের বিশদ পরিসংখ্যান যাচাই করতে চাইছে।
মার্কিন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন ফিনার ফক্স নিউজকে বলেছেন, ‘হামাসের এই আক্রমণ যেন সৌদি-ইসরাইলের সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। উভয় দেশের সম্পর্কের স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইসরাইলের ওপর হামলা কেন হয়েছে, এ যুদ্ধে ইরান কী ভূমিকা পালন করতে পারে বা সৌদি-ইসরাইলের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করা এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল কিনা, খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়গুলোর উত্তর খোঁজা দরকার। আমরা মনে করি, এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার মধ্যে উভয় দেশের কল্যাণ হবে।’
উল্লেখ্য, শনিবার হঠাৎ করেই ইসরাইলে কয়েক হাজার রকেট হামলা চালানোর পর বেড়া ভেঙে ইসরাইলে ঢুকে পড়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজাভিত্তিক এ সংগঠনের যোদ্ধাদের হামলায় এখন পর্যন্ত ৬০০-এরও বেশি ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা এবং অন্যান্য
Leave a Reply