গাজাভিত্তি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরাইলকে সহায়তা দানের জন্য রণতরির পাশাপাশি যুদ্ধবিমানও পাঠাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া অন্যান্য সামরিক সাহায্যও বাড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে হামাসও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, মার্কিন নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস গেরাল্ড আর ফোর্ডকে ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো হচ্ছে। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরু করার প্রেক্ষাপটে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই রণতরিটি পরমাণু শক্তিচালিত।
এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান জোরদার করার জন্য আরো যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রর এক কর্মকর্তা বলেন, তারা এফ-৩৫ ও এফ-১৫ যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছেন। এই দুই বিমানই আকাশ থেকে আকাশে এবং আকাশ থেকে ভূমিকে আক্রমণ চালাতে পারে। এছাড়া এফ-১৬ এবং এ-১০ বিমান পাঠানো হতে পারে। ঠিক কতটি বিমান পাঠানো হচ্ছে, তা জানা যায়নি। তবে সংখ্যাটি ২০-২৫টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুদ্ধটি ইসরাইলের সীমান্তে না থাকে বাইরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাদের মতে, হামাসের পেছনে ইরানের সমর্থন থাকতে পারে। তারা বিষয়টি নিয়ে ভাবছে।
হামাস এখনো ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। রোববার তেল আবিবে বিকট বিস্ফোরণ শোনা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, বেন গুরিয়ান বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করে হামাস ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল।
হামাসও দাবি করেছে, তারা বেন গুরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এবং ইসরাইলের আন্তর্জাতিক হাবকে টার্গেট করেছে।
হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল কাসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরাইল বেসামরিক ঘরবাড়িকে টার্গেট করতে থাকায় এবং অপরাধ অব্যাহত রাখায় তাদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে।
এদিকে হামাসের হামলায় ইসরাইলে নিহতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। গাজার সীমান্তের কাছে একটি মিউজিক ফ্যাস্টিভালেই অন্তত ২৬০ জন নিহত হয়েছে। হামাসের সদস্যরা সেখান থেকে বেশ কয়েকজনকে বন্দীও করেছে বলে জানা গেছে।
এই রণতরিটির সাথে রয়েছে গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রোয়ার এবং গাইডেড মিসাইল ক্রুইজার।
সূত্র : সিএনএন, আল জাজিরা এবং অন্যান্য
Leave a Reply