আমাদের শান্তিময় গাজার সকালটি হঠাৎ করেই আগুন আর অবিরাম বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। যা ২ দশমিক ৩ মিলিয়নেরও বেশি (২৩ লাখ) বাসিন্দাকে দুর্দশার মেঘে আচ্ছন্ন করে রেখেছে।
যুদ্ধবিমানগুলোর ঘোরাঘুরির শব্দ যতই বাড়তে থাকে, আমার পরিবার ততই উদ্বিগ্ন হতে থাকে। আমরা একটি আবছা আলোকিত ঘরে একসাথে জড়ো হয়েছিলাম। এই আশায়- এটা আমাদের বাড়ির সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা।
যখন আমরা রুমের সিঁড়ি দিয়ে নামলাম তখন আমার স্ত্রী পাশে ছিল। তার চোখ ভয়ে কাঁপছিল। তিনি বারবার আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে আমরা নিরাপদ কিন্তু তার কণ্ঠের কম্পন তাকে আঁকড়ে ধরে থাকা উদ্বেগের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
ওই ঘরে আমার বাবা-মা, স্ত্রী, ছেলে ও বোন সবাই জড়ো হয়েছিলাম। আমাদের কণ্ঠ, একসময় সকালের হাসি এবং কৌতূহলে ভরা ছিল কিন্তু এখন চাপা কান্না এবং নীরব প্রার্থনার সাথে শান্ত সুরে কথা বলে।
এভাবেই গাজায় ইসরাইলের হামলার বর্ণনা দিচ্ছিলেন এক সাংবাদিক পরিবার।
রোবাবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করেছে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, শনিবার সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করেছে।
সূত্র : আল জাজিরা
Leave a Reply